স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই জয়পুরহাটের বিভিন্ন পশুর হাটে। মাস্ক কিংবা সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই শহরের নতুন হাট, হোপের হাটসহ জেলার বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, পেটের দায়ে তারা হাটে এসেছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ভিড়ে সম্ভব হয় না শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। মাস্ক পড়লেও অনেকে সেটি গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে বহু গুণ।
হাটে গরু নিয়ে আসা সদর উপজেলার দোগাছী বোর্ডঘর গ্রামের আব্দুস সালাম, নওগাঁর কোলা ভান্ডারপুরের আব্দুল মতিন, বদলগাছীর বাবু মিয়া, পাঁচবিবি গোননা গ্রামের আব্দুল মজিদ ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাদা ব্যাপারীসহ শত শত বিক্রেতা দূর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে হাটে আসেন। তাদের কারও মুখে মাস্ক নেই। কেউ বলেন এখানে করোনা নেই আবার কেউ বলেন গরমের কারণে মাস্ক পকেটে আছে।
হাটে আসা সদর উপজেলার খেজুরতলীর আব্দুর রহমান, ধারকী এলাকার বাবু মিয়া, পাঁচবিবির ধরঞ্জী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, অল্প সময়ের জন্য হাটে এসেছি এজন্য মাস্ক নিয়ে আসেনি। বাড়িতে গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললেই হবে।
হোপের হাটের ইজারাদার সোহেল রানা ও নতুন হাটের ইজারাদার কালি চরণ বলেন, ‘হাটের বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে আসা মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সব-সময় সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।’
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘হাটের ব্যাপারে আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) জেলা কমিটির সভা হবে। সেই সভার সিদ্ধান্ত মতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করছে। এছাড়াও সরকারি নির্দেশনা অসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক-ডাউন হলে হাটগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।’
রাশেদুজ্জামান/আরএইচ/জিকেএস