ফিচার

ইসিএ কেন করবেন, কীভাবে করবেন?

ইসিএ কেন করবেন, কীভাবে করবেন?

কানাডা ইমিগ্রেশন একটি জনপ্রিয় অভিবাসন পদ্ধতি। কানাডা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪ লাখ নতুন ইমিগ্রান্ট নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ইমিগ্রেশনে আবেদন করার জন্য আপনার ইসিএ দরকার। এটি ইমিগ্রেশন ভিসায় আবেদন করার অন্যতম প্রথম রিকোয়ারমেন্ট।

Advertisement

ইসিএ একটি শব্দসংক্ষেপ। এর পূর্ণরূপ হলো- এডুকেশনাল ক্রেডেনশিয়াল অ্যাসেসমেন্ট। অর্থাৎ আপনার শিক্ষাগত প্রমাণপত্রাদির পরিমাপ। আরও সহজভাবে বলতে গেলে আপনার (বাংলাদেশের) এডুকেশন ক্রেডিট, কানাডার এডুকেশনের কতটুকু তা নির্ণয় করাকে ইসিএ বলা হয়। এটি যে শুধু কানাডার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তা নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেমন- আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি।

কানাডার যেকোনো ইমিগ্রেশন ভিসার ক্ষেত্রে, হোক সেটা এক্সপ্রেস এন্ট্রির আন্ডারে ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, ফেডারেল স্কিলড ট্রেড প্রোগ্রাম, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস অথবা প্রোভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম। তাতে অবশ্যই ইসিএ দরকার। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামে পুল সাবমিশনের আগেই এটা চাওয়া হয়।

এমনকি সিআরএস (কম্প্রিহেনসিভ র্যাঙ্কিং সিস্টেম) স্কোর ক্লেম করার জন্য এটি দরকার। আপনার ইসিএ না থাকলে ইমিগ্রশনে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও করতে পারবেন না। ইসিএ শুধু প্রধান আবেদনকারীর করা থাকলেই হবে না, অবশ্যই সাব-অ্যাপ্লিকেন্ট যিনি আছেন (আপনার স্পাউজ) তারও ইসিএ থাকতে হবে। যদি আপনি তার থেকে কোনো পয়েন্ট পেতে চান। আপনি হুট করেই এটি করতে পারবেন না। এটি সময়সাপেক্ষ (৩-৬ মাস) ব্যাপার। সুতরাং সম্ভব হলে এখনই করে রাখুন।

Advertisement

আইআরসিসি (ইমিগ্রশন রিফিউজি সিটিজেনশিপ কানাডা) শুধুমাত্র তাদের ডেজিগনেটেড ইনস্টিটিউশন থেকেই ইসিএ গ্রহণ করে থাকে। ইনস্টিটিউশনগুলো হলো:

১. ওয়ার্ল্ড এডুকেশন সার্ভিসেস ২. কম্পারেটিভ এডুকেশন সার্ভিস ৩. ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডেনশিয়াল এসেসমেন্ট সার্ভিস অব কানাডা ৪. ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন্স এসেসমেন্ট সার্ভিস ৫. ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডেনশিয়াল ইভ্যালুয়েশন সার্ভিস ৬. মেডিক্যাল কাউন্সিল অব কানাডা (ডাক্তার ও নার্সদের জন্য)৭. ফার্মেসি এক্সামিনিং বোর্ড অব কানাডা (ফার্মাসিস্টদের জন্য)

আইআরসিসি কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ল্ড এডুকেশন সার্ভিসেস থেকে ইসিএ করার সুপারিশ করে থাকেন। আর চিকিৎসকদের মেডিক্যাল কাউন্সিল অব কানাডা আর ফার্মাসিস্টদের ফার্মেসি এক্সামিনিং বোর্ড অব কানাডা থেকে ইসিএ করার সুপারিশ করে থাকেন।

কীভাবে করবেন: ইসিএ করানোর জন্য আপনি নিজে আবেদন করতে পারেন অথবা সার্ভিস এজেন্ট যারা আছেন (বাংলাদেশে) তাদের দিয়েও করাতে পারেন।

Advertisement

প্রসেসিং সময়: ন্যূনতম ৩৫-৪৫ কর্মদিবস। আবেদন ফি ও পুরো ডকুমেন্টস প্যাকেজ তাদের হাতে পাওয়ার পর থেকে কর্মদিবস গণনা করা হয়। মূলত সময়ক্ষেপণ হয়ে থাকে আমাদের দেশের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্রুত অফিসিয়াল ডকুমেন্টস ও ভেরিফিকেশন না পাঠানোর কারণে। নিজে দৌড়-ঝাঁপ করতে না পারলে সার্ভিস এজেন্টদের থেকে নিলেই ভালো। এক্ষেত্রে আপনি কিছুটা দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত থাকতে পারবেন।

খরচ: ওয়ার্ল্ড এডুকেশন সার্ভিসেসের আবেদন ফি (কানাডিয়ান) ২২০ ডলার এবং ট্যাক্স (পার এপ্লিকেন্ট)। ডিএইচএল চার্জ ৮৫ ডলার (পার এড্রেস)। নতুন ক্রেডিট সংযোগ ফি ১০০ ডলার। ডুপ্লিকেট রিপোর্ট ৫০ ডলার, প্রতিটি বাড়তি রিপোর্ট ৩০ ডলার। এ ফি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাদের আবেদন ফি ও অন্যান্য ফি পাঠানোর পদ্ধতি হলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড অথবা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। আর সার্ভিস এজেন্ট দিয়ে করলে ৮-১০ হাজার টাকা বাড়তি (সার্ভিস চার্জ) হিসাবে গুনতে হবে।

এসইউ/এমএস