দেশজুড়ে

লকডাউনের খবরে রাজশাহীর বাজারে উপচে পড়া ভিড়

মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় রাজশাহীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। লকডাউন শুরুর আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বাজারে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজশাহীর অধিকাংশ দোকান ও রাস্তাঘাটে ছিল যানজট। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেট, কোর্টবাজার, মাস্টারপাড়া, গণকপাড়া, কাপড়পট্টি ও আলুপট্টিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল মানুষে ভিড়। প্রায় সব ধরনের মার্কেট, শপিংমল ও শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চৈত্র মাসের গরমের মধ্যে নগরীর সাহেব বাজারসহ অন্যান্য বিপণি বিতানগুলোতে ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটা করছেন মানুষ। অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। অনেকের ধারণা ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন হলে বন্ধ থাকবে মার্কেট ও শপিং মল। তাই করোনার উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকির পরও আগাম কেনাকাটায় বাজারমুখী সাধারণ মানুষ।

এদিকে শো-রুম ও মার্কেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দোকান খোলা রাখা হয়েছে।ঈদ এবং রমজানের আগে মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়ে। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে কয়েকদিন তেমন ক্রেতা ছিল না। ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন কড়াকড়ি হবে এমন খবরে ক্রেতা বেড়েছে।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা গোলাম আজিজ পান্থ নামের এক যুবক বলেন, ’১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন। দু’দিন পর আর সময় থাকবে না শপিং করার। পরে আর সুযোগ নাও পেতে পারি। সে কারণেই বাজারে এসেছি।’

রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমির শিক্ষিকা আনোয়ারা বেগম এসেছেন সাহেব বাজারে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত খুব প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বের হই না। সামনে কঠোর লকডাউন। তাই রমজানের খাদ্যসামগ্রী কিনতে ঝুঁকি নিয়েই বাজারে এসেছি। যদিও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি, তারপরও ঝুঁকি তো থেকেই যায়। সামনে ঈদ, বাচ্চাদের জন্য নতুন কাপড়ও এই ফাঁকে কিনে নেব।তাই বলতে পারেন একদিনের জন্য যুদ্ধ করেই বাজারে কেনাকাটা করতে আসা।’

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, সামনে কড়াকড়ি লকডাউনের খবরেই বাজারে ক্রেতা বেড়েছে। এ কারণে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজন প্রশাসনিক মনিটরিং। অন্যান্য দিনের মত যদি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতো, তবে এমন অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হতো না।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মার্কেট, শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা আসার পর সে অনুযায়ী মনিটরিং চলছে।

ফয়সাল আহমেদ/এএইচ/এএসএম