চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাদের সরকার টিকা আটকে রেখেছে। তাই আমি (আমাদের) সরকারের কাছে আবেদন করছি। এরপর আমাদের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই। আমার কথা হচ্ছে যে টাকা সরকার অগ্রিম দিয়েছে, সেটা আটকাতে কোনোভাবেই তারা পারে না।’
Advertisement
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওদের কাছ থেকে কোনো দয়া চাচ্ছি না। আমার ন্যায্য পাওনা আমাদের ভ্যাকসিন, সেটাই চাচ্ছি। সেরাম টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের সংকট হবে। এ বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে বলা উচিত। কারণ দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকার তাদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে।’
এরপরও টিকা না এলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায় কি-না, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, আমরা বিশ্বাস করি ও জানি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। এটা দেখার একটা সময় হয়েছে, এটা এখন দেখতে হবে। এত মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনার দরকার নেই।’
Advertisement
এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘টিকা এনে সরকারকে সহায়তা করা বেক্সিমকোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে টিকা বানানো ছাড়া কোনো পথ নেই। এমন কোনো ওষুধ নেই যেটা বাংলাদেশ বানাতে পারে না। তবে চলতি বছরের মধ্যে টিকা তৈরির বেক্সিমকোর কোনো পরিকল্পনা নেই।’
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়। ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের কারণে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কোনো টিকা আসেনি দেশে।
এমএইচআর/এইচএ/এএসএম
Advertisement