দেশজুড়ে

নার্সের সঙ্গে নেচে বদলি সেই অফিস সহকারী

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) তিন চিকিৎসকের নাচের পর এবার ভাইরাল হয়েছে মেহেরপুরের গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাফিজা ও প্রধান অফিস সহকারী লিটনের নাচ। ওই নাচের দৃশ্য এক সহকর্মী ভিডিও করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে এ দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী লিটনকে বদলি করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল তাকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ২০ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে ‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা’ গানে নাচ করেন নার্স রাফিজা ও আসাদুজ্জামান লিটন। ভিডিও করেন নার্স আমেনা। পরে ওই ভিডিও ক্লিপটি ফেসবুকে চলে যায়। মাহফুজুল নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করার পর মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। ভিডিওটি দেখার পর অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। বিরূপ মন্তব্যে তোপের মুখে পড়েন নার্স রাফিজা ও লিটন। কেউ কেউ বলেছেন, করোনা মহামারির এই সময়ে নার্স আর অফিস সহকারীর এমন নাচ করে উল্লাস প্রকাশ হীন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গেছে।

তবে একটি সূত্র দাবি করেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলিতে উল্লাস প্রকাশ করে এমন নাচ করেন প্রধান অফিস সহকারী আসাদুজ্জামান লিটন ও নার্স রাফিজা। লিটনের সঙ্গে তার অন্যরকম সম্পর্ক আছে বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

সূত্র জানায়, গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী লিটনকে মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লিটনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে সিনিয়র স্টাফ নার্স রাফিজা বলেন, কোনো হীন মানসিকতা বা উল্লাস প্রকাশের জন্য তিনি নাচ করেননি। তবে এ নাচ এভাবে ভাইরাল হবে সেটা তিনি বুঝতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহমেদ রায়হান বলেন, তাকে বদলির সুনির্দিষ্ট কারণ আমার জানা নেই। তবে ভাইরাল ওই ভিডিওর কারণেও তিনি বদলি হতে পারেন। কেননা, মেহেরপুর সিভিল সার্জন ভিডিওটির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এ চিঠির জবাব দেয়ার পরদিনই লিটনকে বদলি করা হয়।

আসিফ ইকবাল/এসআর/এমকেএইচ