প্রথম পর্বে দুই দলের ম্যাচের পর আবাহনীর জয়ের আগে লেগেছিল কষ্টার্জিত শব্দটি। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্ট করেছিলেন রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জয়সূচক গোল।
ফিরতি লেগে সেই বেলফোর্ট আরও নির্দয় হলেন পুরোনো ঢাকার ক্লাবটির বিপক্ষে। হ্যাটট্রিক করে এবার জয়ের আগে যোগ করলেন বড় শব্দটি। এবার জয় ৬-০ ব্যবধানে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জকে বিধ্বস্ত করে আবাহনী কেবল পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়েনি, পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বর থেকে উঠে গেছে দুইয়ে। শেখ জামালের সঙ্গে সমান ৩২ পয়েন্ট হলেও গোল গড়ে এগিয়ে গেছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে বল রহমতগঞ্জের জাল চিনেছিল ২৭ মিনিটের মাথায় তাদের তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার খুরিশদ বেকনাজরভ আত্মঘাতী গোল করলে। বাকি ৫ গোলের তিনটি আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের, একটি করে মামুন মিয়া ও মাসি সাইঘানির।
৩৭ ও ৪৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েলের পাস থেকে বেলফোর্ট প্রথম দুই গোল করেন। মামুন মিয়ার পাস থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ৬২ মিনিটে। পঞ্চম গোলটি মামুন মিয়া নিজেই করেন ডান দিক থেকে দূরপাল্লার শটে, ৬৫ মিনিটে।
পাঁচ গোলে পিছিয়ে রহমতগঞ্জের যখন ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা’, ঠিক তখন ব্যবধান ৬-০ করেন আবাহনীর আফগান ডিফেন্ডার মাসি সাইঘানি। ৮৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের শটে দর্শনীয় গোল করেন তিনি।
১৫ ম্যাচে নবম জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ৩২। টেবিলে তারা এখন দুইয়ে। অন্য দিকে সমান ম্যাচে সপ্তম পরাজয়ে রহমতগঞ্জ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে।
আরআই/এসএএস/এএসএম