মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে। সোমবার (১০ মে) সকাল থেকে ভেঙে ভেঙে তারা ঘাটে এসে পৌঁছাচ্ছেন। লাশ অথবা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়লেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে এ পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট থেকে সাতটি ছোট ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ফেরিতেই অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে গাদাগাদি করে পার হচ্ছে মানুষ। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
সোমবার বেলা ১১টায় দেখা যায়, পাটুরিয়া ৩নং ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য ভিড়ে বনলতা নামের একটি ছোট ফেরি। ফেরি পন্টুনে ভিড়তেই শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে উঠে। কিন্তু মানু্ষের চাপে অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে উঠতে পারছিল না। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর অবশেষে অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরিতে উঠতে পারে।
ফেরি পেতে ঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ১-২ ঘণ্টা। অ্যাম্বুলেন্স আসা না পর্যন্ত কোনো ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে না।
এদিকে নানা ঝামেলা শেষে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ঘাটে পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকছে। ফলে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, নৌ-মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছোট ফেরি দিয়ে লাশ ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। এসব ফেরিতে জোর করে মানুষ পার হচ্ছে। তাদের বাধা দিয়েও ফেরানো যাচ্ছে না।
বি.এম খোরশেদ/এসএমএম/জেআইএম