প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১১ মে) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার (১৩ বা ১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা যাবে না। ঈদের নামাজ পড়তে হবে মসজিদে। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি হাবিবুর রহমান মেশকাত।
সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
Advertisement
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।
পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৬ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আরএমএম/এএএইচ/জিকেএস