দেশজুড়ে

ভোলায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে হাত-পা বেঁধে যুবককে নির্যাতন

ভোলায় প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মো. সবুজ (২৫) নামের এক যুবককে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক এক গ্রাম পুলিশ ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

আহত সবুজ চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে।

অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার সাবেক গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. সালাম এবং তার দুই ছেলে রিয়াজ এবং ফিরোজ।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, সাবেক গ্রাম্য পুলিশ সদস্য সালামের মেয়ের সঙ্গে সবুজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোনে দীর্ঘদিন তাদের কথা চলে। কিন্তু দুই পরিবারের কেউ বিষয়টি মেনে না দেয়ায় তাদের সম্পর্ক ৩-৪ মাস আগে ভেঙে হয়ে যায়। এরপর থেকে তারা আর মোবাইল ফোনে কথা বলতেন না। এরপর ঢাকায় একটি বালুর জাহাজে চাকরি শুরু করেন সবুজ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় চলে যাওয়ার কথা ছিল সবুজের। এজন্য বুধবার (১৯ মে) রাত ১১টার দিকে সালামের বাড়ির পার্শে তার বিবাহিত অসুস্থ বোন তানিয়াকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় রিয়াজ তাকে রাস্তায় দেখে ধরে নিয়ে যান। এসময় তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এসময় রিয়াজ ও ফিরোজ সবুজকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে সাবেক গ্রাম পুলিশ সালাম ও তার দুই ছেলেসহ ৪-৫ জন লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। মারতে মারতে বেশ কয়েকটি লাঠি ভেঙে গেলে আবার নতুন লাঠি এনে মারধর করেন। পরে অস্ত্র এনে তাকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা চালান তারা। ওই সময় সবুজের আর্তনাদে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।

স্থানীয়দের চাপের মুখে আহত সবুজকে তাদের বাড়ির সামনে ফেলে যান অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক গ্রাম পুলিশ সদস্য সালাম। উল্টো তিনি দাবি করেন, সবুজকে চোর সন্দেহে এলাকাবাসী ধরে তাদের বাড়ি এনে রাখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে দড়ি দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিহত করে সবুজকে উদ্ধার করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেন।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে জাগো নিউজকে জানান, লোকমুখে তিনি শুনেছেন প্রেম-সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে এক যুবককে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টির খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জেআইএম