ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দুদিন ধরে মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জেলার গাংনী উপজেলার ভোমরদাহ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শতাধিক পরিবারর এখন পানিবন্দি। ব্যবসা বাণিজ্য ও গবাদি পশু পালনে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতায় গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির উঠানে পানি জমেছে। গবাদি পশুগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। পানিবন্দি পরিবারের লোকজনের রান্নার ব্যবস্থাটিও নেই। অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাশের গ্রামে।
গ্রামের সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠে। জন্মের পর থেকেই তারা এটি দেখে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গ্রামের মানুষ অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন ও নিজ নিজ বাড়িতে মাটি ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আলামিন বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশেও সামান্য বৃষ্টিতেও যদি জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবন বিঘ্নিত হয় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার প্রশ্ন ওঠে। মাত্র ৫০০ মিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা গেলেই এ সমস্যা থেকে সমাধান মিলতো।’
গৃহবধূ নার্গিস বলেন, ‘উঠানে পানি জমেছে। এতে রান্না করতে পারছি না। জ্বালানি ভিজে আছে। গবাদি পশু রাখার জায়গা নেই। দুয়েক দিনের মধ্যেই গোটা পরিবারের লোকজন নিয়ে অন্য গ্রামে চলে যাব। বর্ষা গেলে ফিরে আসব।’
সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। গ্রামের লোকজনকে পরামর্শ দেয়া হলেও তারা মানেন না। বাড়ির পাশে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। কোনো প্যালাসাইট দেন না। ফলে রাস্তা ভেঙে যায়। অনেকেরই বাড়ি ভাঙে। এতে করে অনেক পরিবার উঠানে পানি না জমার জন্য মাটি ভরাট করে। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন একটি বিষয় ভাবতে হচ্ছে, তা হলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ইউনিয়ন পরিষদে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে ক্রমান্বয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।’
আসিফ ইকবাল/এসজে/জেআইএম