দেশজুড়ে

আহতকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বাসচাপায় মারা গেলেন একই বাড়ির ৪ জন

ভোলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মো. ইউসুফ (৪২) নামের আরও এক অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছেন।

তিনি ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন গ্রামের মৌলভী বাড়ির বাসিন্দা এবং একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেন উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম।

এর আগে এ ঘটনায় মো. আজিজুল ইসলাম, মো. মিরাজ উদ্দিন ও সোহাগ নামের তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। তারা সবাই ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন গ্রামে মৌলভী বাড়ির বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই বাড়ির মো. সালামের ছেলে মো. সোহাগ তাদের বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে পড়ে আহত হন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মিরাজ উদ্দিন সিরাজ, ইউসুফ, মনির ও ইমন অটোচালক আজিজুল ইসলামের অটোরিকশায় ভোলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

অটোরিকশাটি ঘুইংগারহাট বাজার এলাকায় এলে ভোলা থেকে চরফ্যাশনগামী বিসমিল্লাহ পরিবহন নামের যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাকে চাপা দেয় এবং একটি যাত্রীবাহী বোরাককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার বাইরে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশা চালক আজিজুল ইসলাম, যাত্রী মিরাজ উদ্দিন সিরাজ, সোহাগ নিহত হন। পরে স্থানীয়রা অটোরিকশা ও বোরাকের পাঁচজন গুরুতর আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহতদের মধ্যে ইউসুফ ও মনিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বরিশাল শের-ইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ মারা যান।

এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ঘুইংগারহাট এলাকার সড়ক অবরোধ করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।

ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি জব্দ করেছে। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

অন্যদিকে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জেআইএম