অভিনয় ছেড়ে ধর্ম-কর্মে মন দিয়েছেন সাবেক বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল সানা খান। ১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি।
গত ২১ নভেম্বর মুফতি আনস সায়েদকে বিয়ে করার পর থেকে তাকে নানাভাবে আক্রমণের শিকার হতে হয়। অনেকের প্রশ্ন ছিল, ‘সানা, আপনি কি ভালো কাউকে পেতেন না’? কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, ‘সানা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন’ ইত্যাদি। তবে কটাক্ষ এখনো তার পিছু ছাড়েনি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সানা খানের একটি ছবিতে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হিজাবে মুখ লুকানোর জন্য শিক্ষার কোনো দরকার ছিল না’।
ছবিতে তিনি একটি কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে আছেন। মাথায় হিজাব। পরনে কালো বোরখা। ছবিটি তুলেছেন তার স্বামী। ছবির নিচে সানা লিখেছেন, ‘মানুষকে ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তাকে সম্মান দেন, যাকে ভালোবাসেন না, তাকে পাত্তা দেন না’।
এ ছবির নিচে এমন মন্তব্য দেখে নীরব থাকেননি এই অভিনেত্রী। জবাবে সানা খান লিখেছেন, ‘আল্লাহর আশীর্বাদেই আমি পড়াশোনা শেষ করেছি’।
View this post on InstagramA post shared by Saiyad Sana Khan (@sanakhaan21)
তার মতে, যদি হিজাব পরেও তিনি নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, যদি হিজাব পরেও এত ভালো পরিবারে বিয়ে হতে পারে, এত ভালো স্বামীর সঙ্গ পান তিনি, তবে এই জীবন থেকে আর কিছুই চান না সানা খান। আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন এত দিন ধরে। তাই এখানে পরাজয়ের কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে মনে করেন তিনি।
তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালায়ালাম ভাষায় একাধিক চলচ্চিত্রে সানা খানকে দেখা গেছে। ২০১২ সালে রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করে মুম্বাই নগরীতেও জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর সালমান খানের ‘জয় হো’, ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘স্পেশাল অপস’সহ তাকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।
ইনস্টাগ্রামে দেয়া একটি পোস্টে অভিনয় থেকে বিদায় নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন সানা খান। তিনি আশ্রয়হীন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য বলে মনে করেন।
এমএসএইচ/জিকেএস