ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল আহসান গাজী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন চঞ্চল। এছাড়া এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান।
২১ জুন প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের ৩২টি ইউনিয়নের সঙ্গে নাজিরপুর সদর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে চঞ্চল ও মোশারফ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী জানান, দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী হয়েছে। তাই তাকে নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছি। আমাকে সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তবে অব্যাহতি দেয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। এজন্য আমিও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’
এসজে/এএসএম