দেশজুড়ে

ঘাটে যেতেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া

লকডাউনের পঞ্চম দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা বিভিন্ন হালকা যানবাহনে তিন-চার গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন। 

শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে ফেরিতে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী আসা শুরু হয়। তবে ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল সহনীয় পর্যায়ে। এদিনও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। অনেকেই ছিল মাস্ক ছাড়া।

সরেজমিনে বাংলাবাজারঘাট এলাকায় দেখা যায়, সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে থাকে। এদিন দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন।

এদিকে দূরপাল্লা বা অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীবাহী যান বন্ধ থাকলেও বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে তিন-চার গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন।

বরিশালের যাত্রী আসলাম খান জানান, ইজিবাইক, সিএনজি ও মোটরসাইকেলে বরিশাল ৫০০-৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা ও বাগেরহাট থেকে ঘাটে আসতে ৬৫০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিলেও বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। রুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি চালু রয়েছে।

নাসিরুল হক/এসএমএম/এমকেএইচ