দেশজুড়ে

কিশোরগঞ্জে বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে ভারী যান চলাচল বন্ধ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ-তারাগঞ্জ সড়কের চাঁড়ালকাঁটা নদীর ওপর নির্মিত একমাত্র বেইলি ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে গিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (২৬ জুন) গভীর রাতে বালুবোঝাই দশচাকার জ্যাম ট্রাক বালুসহ উঠলে ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে যায়। এ নিয়ে প্রায় ১০ বার ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঁচ টনের অধিক মালামাল পরিবহন নিষিদ্ধ লিখে ব্রিজের দুই পাশে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয় নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারপরও ব্রিজটির ওপর দিয়ে ১৫ থেকে ২০টি দশচাকার বালুবাহী জ্যাম ট্রাক চলছে। একেকটি ট্রাকে বালুর পরিমাণ থাকে ৩০ থেকে ৩২ টন। বাহাগিলি ঘাট এলাকার বাসিন্দা আশুতোষ মহন্ত, আজিজার রহমান, একরামুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, খুব দ্রুত ব্রিজটি দিয়ে বালুবাহী ট্রাকের যাতায়াত বন্ধ করা না গেলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও রংপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

ইটবাহী ট্রাকচালক আজিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমি সৈয়দপুর থেকে ইট নিয়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হই। কিন্তু এখানে এসে দেখি ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে গেছে। এখন বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ঘুরে কিশোরগঞ্জে যেতে হবে।’ নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম বলেন, তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের বাহাগিলি এলাকার বেইলি ব্রিজটি ঝঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে পাঁচ টনের বেশি মালামাল পরিবহন নিষিদ্ধ লিখে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে।

ব্রিজটির পাটাতন বারবার ভেঙে যাওয়া এবং দশ চাকার বালুবোঝাই জ্যাম ট্রাক চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লোক পাঠিয়ে ব্রিজের পাটাতন মেরামত করে চলাচলেরে উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বালুবোঝাই ট্রাক যাতে ব্রিজে উঠতে না পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা বেগম বলেন, সরকারি নদী খননের বালু ইজারা দেয়া হয়েছে। তবে শর্তানুযায়ী দশ চাকার জ্যাম ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সরকারি স্থাপনার ক্ষতি করে কেউ বালু নিয়ে যেতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহেদুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস