: কী রে তোর খবর কী?- এই তো চলছে…: চলছে মানে? - না মানে ল র ব য হ অবস্থা তাতে কীভাবে ডিউটি করি বুঝতে পারছি না। : কস কী আমেরিকার মতো দেশকে নাকানি-চুবানি খাওয়ালাম। ট্রাম্পের মুখে মাস্ক পরালাম আর ব্যাটা বাইডেন তো মাস্ক খুলতেই চায় না। - হ কমলা আপার মুখেও তো মাস্ক। : তুই কী করছস তাহলে?- এদের মতিগতিই তো ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। : কী রকম?- এরা আমারে নিয়া মস্করা করে। এখন পর্যন্ত যা করলো তাতে মান-ইজ্জত নিয়া চলা দায়। - তোর আবার মান-ইজ্জত। : হ তৃতীয় বিশ্বের করোনা হইলেও আমাদের তো একটা আত্মসম্মানবোধ আছে। - তাই নাকি! তো মান-ইজ্জতের কী হলো?: আর বইলেন না, মাস্ক কেলেঙ্কারি, রিজেন্ট শাহেদ-সাবরিনাদের নানা অপকীর্তির মধ্যেও নিজের ডিউটিটা ঠিকমতো করতে ছিলাম। : তো এখন অসুবিধা কীসে?- সীমিত পরিসরের লকডাউন, কঠোর লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউনের পর এরা লকডাউন-শাটডাউন খেলা শুরু করছে। : সেইটা আবার কী?- এরা নাকি এবার শাটডাউন দিবে। : এর আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি?- নিয়েছিল। বেশ কয়বার লকডাউন দিছে। ঢাকা শহরেও আলাদা কইরা দিছে। এখন তো গ্রামগঞ্জেও আমাদের পারফরমেন্স মাশাআল্লাহ ভালো।
: হু তাই তো দেখতেছি- হ বিভাগীয়, জেলা শহরেও লকডাউন চলছে। : লকডাউনে তোর অসুবিধা কী?- না তেমন কোনো অসুবিধা নেই। লকডাউন থাকলেও দোকানপাট, শপিংমল, গার্মেন্টস সব খোলা থাকে। রাস্তায় যানজটও হয়। : তাই নাকি! তো এখন আবার সমস্যা কী?- সমস্যার তো অন্ত নাই। এরা তো লকডাউনের তারিখটাই ঘোষণা করতে পারতেছে না ঠিকমতো। একবার শুনলাম সোমবার থেকে ‘আখেরি শাটডাউন' দিবে। এখন শুনতেছি পহেলা জুলাই থেকে দিবে। : তো তোর অসুবিধা কী?- আরে আমরা তো ডিউটি রোস্টারটাই ঠিক করতে পারছি না।: গণপরিবহনের অবস্থা কী?-ভালো। দুই সিটে একজন নিবে কইয়া এরা ডাবল ভাড়া নিচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী এক বিছানায় ঘুমাইয়্যা গাড়িতে আলাদা সিটে বইস্যা বেশি ভাড়া দিয়া এরা সামাজিক দূরত্ব পালন করছে। : স্বাস্থ্যবিধি কেমন মানছে যাত্রীরা?- বাসের ড্রাইভার হেলপারই মানছে না আবার যাত্রী! : তাহলে তোদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না? - না। গণপরিবহনে কার্যক্রম ভালোই চালাচ্ছি।
: সামনে তো কোরবানির ঈদ এটা নিয়া তোর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?- লকডাউনেরর নাম শুইন্যা যেভাবে লোকজন বাড়ি যাচ্ছে আর আসছে তাতে ওখানে ডিউটি কইরাই তো নাজেহাল। কেন ফেরিতে মানবজট দেখেন নাই। : দেখছি, তো গরুর হাট নিয়া তোদের কী চিন্তা। - গরুর হাটে ভালোমতোই ডিউটি করতে হবে বলে মনে হচ্ছে। : তোদের আর ডিউটি! লোকজনরে স্বাস্থ্যবিধি মানাইতে পারলি না। তোদের তো ভয়ই পায় না লোকজন। - হ এরা খুবই খচ্চরটাইপ প্রাণী। মাস্ক পরলেও নাক খোলা রাখে। কারণ সবকিছুতেই এদের নাকগলানো লাগে। : এরা কি কোনো দিন ভালো হবে না?- না। এরা ভালো হয় না। মাসুদরে দেখেন নাই। মন্ত্রী ফাটাকেস্ট ক্যামেরার সামনে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা বললেও সে ভালো হয়নি। বরং মাসুদদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। - দুঃখজনক। তো তোরা এখন কী করবি?- চিন্তা কইরেন না ওস্তাদ, নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার মধ্যেও একমাত্র আমরাই ঠিকভাবে ডিউটি পালন করছি।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট। harun_press@yahoo.com
এইচআর/জেআইএম