কঠোর লকডাউন তোয়াক্কা না করেই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় বিয়ের পর বরের বাড়িতে চলছিল প্রীতিভোজের আয়োজন। কনে বাড়ির লোকজনসহ শতাধিক মানুষ ছিলেন অতিথি। সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে একসঙ্গে চারটি চুলায় গরু-খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট ও পোলাও রান্না শুরু হয়। রান্না করা হয় ডাল, চিংড়ি মাছ ও ফিরনি।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে রান্নার কাজ। দুপুর ২টার দিকে ওই খাবার অতিথিদের পরিবেশনের কথা ছিল। এর আগেই দুপুর দেড়টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মেহের নিগার তনু। বন্ধ করে দেয়া হয় প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান। ফেরত পাঠানো হয় ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করে নিয়ে আসা চেয়ার-টেবিল।
ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ খলিফার বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল লতিফ খলিফার ছেলে রাজিব খলিফার (৩৪) সঙ্গে মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে শ্রাবণী আক্তার লাবনীর কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা চলছিল। কঠোর লকডাউনের আগে পাত্র-পাত্রী পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। তারা বিয়েতে সম্মতি দেন। এরপর উভয় পক্ষ সোমবার দুপুরে বরের বাড়িতে বিয়ের দিন নির্ধারণ করেন। আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হয়। কনে বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে আসেন ২৫ জন। সব মিলিয়ে শতাধিক মানুষকে দাওয়াত করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কনের অনুপস্থিতিতে ছেলের বাড়িতে স্থানীয় একজন কাজি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। বরসহ উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন এসময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে অতিথিদের খাবার পরিবেশনের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই বিয়েবাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন এসিল্যান্ড মেহের নিগার তনু। এসময় কনে বাড়ির লোকজনসহ বেশ কয়েকজন অতিথি আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে এসিল্যান্ড প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম জানান, লকডাউনের মধ্যে এ ধরনের আয়োজন করবেন না মর্মে বরের অভিভাবকরা মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
সাইফ আমীন/এসআর/এমএস