নীলফামারীতে হোসেন আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ জুলাই) ভোরে শহরের মধ্য হাড়োয়া নীলকুঞ্জ মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন আলী সদর উপজেলার ইটাখোলা শিংদই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী ছেলে। পেশায় তিনি ইজিবাইক চালক।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, দুই ছেলে রশিদুল (৩০) ও মতিয়ার রহমানসহ (২৪) ছয়জনকে বিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই আলাল হোসেন বলেন, ছেলের বউকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। ওই মামলার শিকার হয়ে তাদের হাতে জীবন দিতে হলো। নিজের বোনের মেয়েকে বউ করে ঘরে আনার পরথেকে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
নিহতের বড় বোন মজিরন বেগম বলেন, ভাইয়ের বড় ছেলে রশিদুল ইসলামের স্ত্রীর তালাকের মামলা চালাতে বাড়িটি বিক্রি করে দেন। পরে পাশে একটি নতুন বাড়িতে শনিবার ওঠার কথা ছিল।
এ বিষয়ে নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী-ছেলেসহ ছয়জনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জাহেদুল ইসলাম/আরএইচ/এমকেএইচ