জাতীয়

সামনে কারখানার ব্যানার, ডাকছে সাধারণ যাত্রী

সামনে কারখানার ব্যানার, ডাকছে সাধারণ যাত্রী

ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৬টা। চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট মোড়ে একের পর এক বাস আসতে থাকে। বেশিরভাগ গাড়ির সামনে কোনো না কোনো কারখানার ব্যানার লাগানো দেখা যায়। কিন্তু গাড়ির কাছে যেতেই হেলপারদের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রী ডাকতে দেখা যায়।

Advertisement

শুধু দুই নম্বর গেট নয়, রোববার (১১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে ৭টা সরেজমিনে নগরের বেশ কয়েকটি মোড় ঘুরে যাত্রীবাহী বাস ও বিভিন্ন গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে।

একই সময় দুই নম্বর গেট মোড়ে স্বাধীনতা পার্কের পাশে একটি থানা পুলিশের গাড়ি দেখা যায়। কাছে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই গাড়ির ভেতরের এক পুলিশ সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা লকডাউনের ডিউটিতে আসি নাই। থানা পুলিশের নিয়মিত টহলের দায়িত্বে আছি।’

জানতে চাইলে ১০ নম্বর বাসের চালক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজনে তো বের হয়েছি। তাছাড়া লকডাউনের মধ্যে আমাদের পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে আছি। কেউ তো আমাদের এক কেজি চাল দিচ্ছে না। এখন পুলিশ আসার আগে কয়েকটা ট্রিপ মারতে পারি কি-না দেখছি।’

Advertisement

সামনে কারখানার ব্যানার লাগানো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতবার লকডাউনে একটা কারখানার ভাড়া মারছিলাম। ওই ব্যানার ছিল। পুলিশ যাতে সহজে ধরতে না সে জন্য ব্যানারটা আবার লাগালাম।’

কঠোর লকডাউনে (বিধিনিষেধ) পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করা গাড়ি ছাড়া সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কিন্তু তারা তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করার আগে চট্টগ্রাম নগরে ভোরে গণপরিবহন চলতে দেখা যায়। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করলে গাড়ি চলাচল কমে যায়।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই দফা ঘোষণায় ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা রয়েছে।

Advertisement

মিজানুর রহমান/বিএ/এমএস