হবিগঞ্জে ২২ মণ ওজনের বাদশার দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। কালো রঙের বাদশাই এ বছর জেলার কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বলে আশা করছেন আজিজুল মিয়া। বাড়ির আঙিনায় ফলানো ঘাস, খৈল, ভুসি ও ধানের কুড়া খাইয়ে লালনপালন করছেন তিনি।
আড়াই বছর আগে জেলার বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আতুকুড়া করিমনগর গ্রামের কৃষক আজিজুল মিয়ার বাড়িতে একটি ষাঁড়ের বাচ্চা জন্ম নেয়। জন্মের পরই এর নাম রাখা হয় ‘বাদশা’। প্রথম থেকেই স্বাভাবিকভাবে এটিকে লালন পালন শুরু করেন তিনি। বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত ঘাস, খৈল, ভুসি, ধানের কুড়া খাওয়ানো শুরু করেন। এগুলো খেয়েই বাদশা বেড়ে উঠে।
আজিজুল মিয়ার লালিত এ ষাঁড়টি উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রাণিসম্পদ বিভাগ আয়োজিত প্রাণী প্রদর্শনীতেও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়। এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাটে বাদশাকে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। বাদশাকে দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
এ বিষয়ে আজিজুল মিয়া বলেন, বাদশার উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট ও লম্বায় ৯ ফুট; বুকের মাপ সাড়ে ৮ ফুট। ওজন প্রায় ২২ মণ। এবার কোরবানির পশুর হাটে এটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাই।
তিনি বলেন, বাদশাকে লালন পালন করতে দেশীয় খাবারের সঙ্গে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মোটা তাজাকরণের ইনজেকশন দেয়া হয়নি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/এমকেএইচ