খেলাধুলা

নেইমারের চোখে মেসিই সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে সেরা

ফাইনালে দু’জন শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন। শিরোপা লড়াইয়ে দু’জনই চেষ্টা করেছেন সর্বোচ্চ। তবে সে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো লিওনেল মেসি। ডি মারিয়ার গোলে লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠলো মেসির মাথায়। এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা উঠলো মেসির হাতে।

ট্রফি জিততে না পারার হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নেইমার। মারাকানার সবুজ ঘাসে ঝরে পড়েছিল তার চোখের অশ্রু। যদিও মেসি তাকে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দিয়েছিলেন। নেইমারও অভিনন্দন জানান, মাঠের বাইরে তার সেরা বন্ধুকে।

এবার মেসিকে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সেরা ফুটবলার হিসেবে আখ্যায়িত করলেন ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমার।

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বার্সেলোনায় খেলেছেন নেইমার। এরপর হঠাৎ করেই বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে গিয়ে যোগ দেন নেইমার।

২০১৯ সালে ব্রাজিল নিজেদের মাটিতে যে কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল, নেইমার সেই দলের অংশ ছিলেন না। কারণ, ইনজুরির কারণে তখন লম্বা সময় বাইরে থাকতে হয়েছিল নেইমারকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেইমার লেখেন, ‘হার অবশ্যই আমাকে কষ্ট দিয়েছে, এটা অবশ্যই আমাকে কষ্ট দিয়েছে। এটা এমন একটি বিষয়, যেটাকে সঙ্গে করে জীবন অতিবাহিত করা শিখতে পারিনি। আমি যখন হেরে গেলাম, তখন দেখলাম, ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং সেরা ফুটবলারটি আমাকে এসে আলিঙ্গনাবদ্ধ করেছেন। যার সঙ্গে আমি খেলেছিলামও।’

পরক্ষণেই নেইমার বলেন, ‘আমার বন্ধু এবং ভাই মেসি। আমি যখন দুঃখ ভারাক্রান্ত ছিলাম তখন তাকে বলেছিলাম, তুমি আমাকে হারিয়ে দিয়েছো। হেরে যাওয়ার কারণে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। তবে এই লোকটি সত্যিই অসাধারণ। সে ফুটবলের জন্য যা করেছে, সে জন্য তার প্রতি আমার বিশাল শ্রদ্ধা রয়েছে এবং বিশেষ করে আমার জন্য। আমি হেরে যাওয়া ঘৃণা করি। তবে, তোমার (মেসি) শিরোপা উদযাপনও উপভোগ করেছি। ফুটবল তোমার এই অসাধারণ মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিল এতদিন। কংগ্রাচুলেশন্স হারমানো (ব্রাদার)।’

      View this post on Instagram      

A post shared by NJ 10 (@neymarjr)

২৮ বছর পর এই প্রথম কোনো শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ৬টি ব্যালন ডি অর জিতে ফেললেও মেসির নামের পাশে কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা লেখা ছিল না। এবার সেটা লেখা হলো। শিরোপা জয়ের পরই রোববার লিওনেল মেসিরা ফিরে যান বুয়েন্স আয়ার্সে। সেখানে তাদেরকে বীরের মর্যাদায় স্বাগতম জানানো হয়।

আইএইচএস/