আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
সেদিন প্রভাতেও ছিল ঘন অন্ধকারআকাশে সূর্যোদয় হয়েছিল ঠিকই,কিন্তু সূর্যের বিকিরণ বাংলায় পৌঁছেনিউদ্দিন-হোসেনরা বাংলার আকাশে কাল ছামিয়ানা টেনে সূর্যালোকের আলোকচ্ছ্বটা রোধ করেছিল।
নিজেদের অবৈধতার লজ্জা নিবারণের আশায়বাংলাদেশের সবচেয়ে সৎ রাজনীতিবিদ,বাঙালির সবচেয়ে আপন মানুষ,বাঙালির সাহস ও শৌর্যের জীবন্ত কিংবদন্তিকে রুদ্ধ করে আজিকের অন্ধকারে।
ভেবেছিল, শেষ করে দেবে, শূন্য করে দেবে,ভেবেছিল মাইনাস করে দেবে,বাঙালিকে দাবিয়ে রাখবে দীর্ঘকাল।
দম্ভে ওরা ভুলে বসেছিলসাতই মার্চে জাতির পিতা বলেছেন, 'আর দাবায়ে রাখবার পারবা না।' ইতিহাস বলে, তাঁকে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যা করেওবাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি দীর্ঘকাল।
মধ্য জুলাইয়ের অন্ধকার প্রত্যুষেই অকুতোভয় শেখের বেটি রচনা করেন আরেক অমর কাব্য;বলাকা, গীতাঞ্জলি, মেঘনাদ বধ নয়, আর দাবায়ে রাখবার পারবা না’র মতজয় জনগণের হবেই।
তিনি অমর কাব্যে বলেছেন, ‘কখনও মনোবল হারাবেন না।অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকব।আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। জয় জনগণের হবেই।’
এই আশা জাগানিয়া কাব্য মন্ত্রের মত বাঙালির বুকে সাহস জুগিয়েছে, মাথা উঁচু করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
বরাবরের ন্যায় মাথা নত করেনি বীর বাঙালি। অবশেষে জনতার জয় হয়েছে, আরমুজিবকন্যার চিঠি আজ বাঙালির অকুতোভয় সাহসিকতার সনদ।
এমএমএফ/এএসএম