অর্থনীতি

রিকন্ডিশন গাড়ি ছাড়ের সিদ্ধান্ত শিগগিরই

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আটকে থাকা ৫ বছরের বেশি পুরনো রিকন্ডিশন গাড়ির খালাসিকরণে সরকার দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নেবে। গাড়িগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির জন্য খালাস করতে দেওয়া হবে নাকি আন্তর্জাতিক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হবে এই দুটি উপায় বিবেচনায় রেখে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেবে। যাতে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির আর তৈরি না হয়। এভাবেই রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। রোববার সচিবালয়ে কথা বলেন জাগোনিউজের সঙ্গে। কথা বলেছেন আমাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদ আরমান। এসময় জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমদানি রপ্তানি নীতিমালা অনুসারে আমাদের দেশে ৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি করা নিষেধ। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ি ৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি করেছে। সেগুলো চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আটকে আছে। বিষয়টি আমি জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটি-একনেক এ তুলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। পরে প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেদেন। কমিটি তার মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন। এখন সেটি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় রয়েছে।জাগোনিউজকে সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী তার দপ্তরে আরও বলেন, দুটি বিকল্প উপায় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক, জরিমানার মাধ্যমে গাড়িগুলো বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া। তবে সরকার দৃঢ়তার সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিবে। যাতে এটি দৃষ্টান্ত হয়। ভবিষ্যতে যেন এই কাজ আর ব্যবসায়িরা না করেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু সেটি করিনি। প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি আমরা। অতীতে অনেক বাণিজ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইনা, যাতে বির্তক তৈরি হয়। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবো। কাউকে অনুমতি দিবো, কাউকো দিবো না এমনটা হবে না। সোনা আমদানির নীতিমালা কতদূর জানতে চাইলে মন্ত্রী জাগোনিউজকে বলেন, প্রতেকটা বিষয়ের নীতিমালা থাকা দরকার। আমরা সোনা আমদানির বিষয়ে নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। একটি খসড়া হয়েছে। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত হবে। আশা করি, এতে সোনার চোরাচালান কমবে।মার্কিন বাজারে জিএসপি বাংলাদেশ আদৌ পাবে কিনা জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মার্কিন বাজারে আমরা কখনোই জিএসপি সুবিধা পাবো না। তাদের বিদ্যমান শর্ত পূরণ করলে তারা আবার নতুন করে শর্ত দিবে। কোন দিনই শর্ত শেষ হবে না।মন্ত্রী বলেন, মার্কিন সরকারের জিএসপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা এখন কাউকে জিএসপি দিচ্ছে না। নতুন সরকার অন্য রাষ্ট্রগুলোকে জিএসপি দিলেই কেবল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শুল্কমুক্ত ও কোটা সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা এসব সুবিধা মার্কিন বাজারে পাইনা। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ কয়েকটি দেশে এইসব সুবিধা পাওয়া যায়।