রাজনীতি

কুমিল্লা-৭ আসনে উপ-নির্বাচন: কে ধরছেন নৌকার হাল?

কুমিল্লা-৭ আসনের উপ-নির্বাচনে কে ধরছেন নৌকার হাল? কার হাতে উঠবে নৌকার বৈঠা? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম তুলছেন। পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান জানান দিতে জনগণের কাছে যাচ্ছেন। নিজেকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে দলের কাছে প্রমাণ করতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

চান্দিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৭ আসনের টানা তিন মেয়াদসহ ৫ বারের এমপি ছিলেন অধ্যাপক আলী আশরাফ। গত ৩০ জুলাই তার মৃত্যুতে শূন্য হয় আসনটি। সাংবিধানিক বাধ্যবাকতার কারণে এরই মধ্যে তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। এর অংশ হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে।

এর মধ্যে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রয়াত এমপির ছেলে ও চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শাহজালাল মিঞা, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন ও দোল্লাই-নবাবপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে নেতারা বলেছেন, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে, যাতে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জাগো নিউজকে বলেন, এটি সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বিষয়। প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য, জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য লোককেই নিশ্চয় বাছাই করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় বোর্ড।

দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় টিমের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মনোনয়নের বিষয়টি সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বিষয়। বোর্ড সভায় দলের সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বোর্ড সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য ও জনপ্রিয় লোককেই বাছাই করবেন।’

দলীয় একটি সূত্র বলছে, এ উপ-নির্বাচনে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক গোপাল চান্দিনার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তাদের কাছে তার একটি গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয়েছে। পাশাপাাশি তিনি জাতীয়ভাবে একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছেন। অধ্যাপক আলী আশরাফকে বাদ দিয়ে তাকে দেয়া হয়নি। এখন যেহেতু আলী আশরাফ নেই তাই তাকেই হয়তো এবার সুযোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আরেকটি সূত্র বলছে, অধ্যাপক আলী আশরাফের আসনে তার ছেলে মুনতাকিম আশরাফকেই বেছে নিতে পারে দল। আলী আশরাফের জীবদ্দশায়ই রাজনীতির হাল ধরেছেন তার ছেলে মুনতাকিম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়েও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা পর্যন্ত।

এসইউজে/এমএইচআর