নাটোরের সিংড়ায় নৈশপ্রহরী, গাড়িচালকসহ চারজনের নামে কোনো সরকারি বাসভবন বরাদ্দ নেই। তবু তারা সরকারি বাসভবনে থাকছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা কোনো ভাড়াও পরিশোধ করেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৈশপ্রহরি, গাড়িচালকসহ ওই চারজনের কেউ তিন বছর, কেউ দেড় বছর, আবার কেউ তিন থেকে ছয়মাস বিনা ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সরকারি ভবনে। উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসা বরাদ্দ কমিটির পক্ষ থেকে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা ভাড়া পরিশোধ করেননি। এমনকী বাসা ছাড়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও তারা বাবা ছাড়েননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাড়িচালক মো. সেলিম রেজা। তিনি সরকারি ওই বাসভবনের (শাপলা) ৪ নম্বর ইউনিটে প্রায় তিন বছর ধরে বিনা ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. মোতালেব হোসেন মাধবী ভবনের ১ নম্বর ইউনিটে তিনমাস ধরে বসবাস করছেন।
ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, সাবেক উপজেলা টেকনিশিয়ান রফিকুল ইসলাম চামেলি ভবনের ২ নম্বর ইউনিটে গত বছরের জানুয়ারি থেকে বসবাস করছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ট্রেনিং সেন্টারে প্রায় ছয়মাস ধরে থাকছেন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশপ্রহরী মো. ফজলু।
নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রত্যককে চার হাজার ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাড়া পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তারা ভাড়া পরিশোধ করেন না বলে জানা গেছে। এতে সরকার প্রায় তিন লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ইউএনও স্যার আমাকে বসবাস করতে দিয়েছেন। আমি ডিসেম্বরে চলে যাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাড়িচালক মো. সেলিম রেজা মোবাইল ফোনে বলেন, আমি বাইরে আছি, এসে কথা বলবো।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারি বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের তাদের তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরও যদি তারা ভাড়া পরিশোধ না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/এএসএম