নরসিংদীর পলাশে শহীদ মিনারের পিলার ধসে জান্নাতি আক্তার (২) নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জান্নাতি আক্তার সেকান্দরদী গ্রামের রাব্বি মোল্লার মেয়ে।
এছাড়াও জান্নাতি নিহতের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্ত তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার বিকেলে জান্নাতি আক্তার বাড়ির পাশের সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ শহীদ মিনারের একটি পিলার ভেঙে শিশু জান্নাতির ওপর পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারিউল্লাহ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। প্রধান শিক্ষক সেটি মেরামত না করে দড়ি দিয়ে পিলারটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। যার ফলে পিলার ধসে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
সেকান্দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/আরএইচ/জেআইএম