তথ্যপ্রযুক্তি

অ্যাপলকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি মাইক্রোসফট

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্তও অ্যাপল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি। তবে শুক্রবারে এসেই দান একেবারে উলটে গেছে। অ্যাপলকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি এখন মাইক্রোসফট।  অনেকদিন থেকেই অ্যাপলের একেবারে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল মাইক্রোসফট। 

Advertisement

সিএনবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, সরবরাহ চেইনে সমস্যার কারণে নিজেদের চতুর্থ আর্থিক প্রান্তিকে ওয়াল স্ট্রিটের প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় হয়নি অ্যাপলের। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক জানিয়েছেন, আনুমানিক প্রায় ছয়শ’ কোটি ডলার আয় কম হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিকে সরবরাহ চেইনে সমস্যা আরও বাড়বে বলেও ধারণা করছেন কুক।

বাজারে এখন মাইক্রোসফটের সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ৪৯ ট্রিলিয়ন ডলার। সেখানে অ্যাপলের প্রায় ২ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রান্তিকের হিসাবে গত বছরের তুলনায় আইফোনের বিক্রি ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের অনুমান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এ খাতটিও। প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ প্রান্তিকে শুধু অল্প কয়েকদিন আইফোন ১৩ বিক্রির হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাইক্রোসফট নিজেদের প্রথম আর্থিক প্রান্তিক থেকেই আয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হিসাব-টানা-প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় আয় ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ২০১৮ সালের পর এবারই সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

Advertisement

পর্যায়ক্রমে এক ট্রিলিয়ন ও দুই ট্রিলিয়ন বাজার মূল্যমান পার হওয়া প্রথম প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। ২০২০ সালে সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকো’কে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থানটি দখলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমাসেই ট্রিলিয়ন ডলার পেরোনো প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে টেসলা।

বাজার মূলধনে গত বছরই শেষবারের মতো অ্যাপলকে পেছনে ফেলেছিল মাইক্রোসফট। সে সময় করোনাভাইরাস মহামারির মুখে সরবরাহ চেইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। মার্কিন এ সফটওয়্যার জায়ান্ট জুনে দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্য পার করে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর উইন্ডোজে বড় ধরনের আপডেট আনা ভূমিকা রেখেছিল সে সময়টিতে।

শুক্রবার দিনশেষে গত বছর ঠিক এই দিনের তুলনায় মাইক্রোসফটের শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। অন্যদিকে, একই সময়ে অ্যাপলের শেয়ার মূল্য বেড়েছে ১৩ শতাংশ। আর একদিনের ব্যবধানেই মাইক্রোসফট বিশ্বের দামি কোম্পানি হলো।

সূত্র: সিএনবিসি

Advertisement

কেএসকে/জেআইএম