দেশজুড়ে

রাঙ্গামাটিতে আটকেপড়া পর্যটকদের ভরসা বিআরটিসি বাস আর মাইক্রো

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটিতে আটকেপড়া পর্যটকরা মাইক্রো ও বিআরটিসি বাসে রাঙ্গামাটি ছাড়তে শুরু করেছেন। এছাড়া যেসব পর্যটক রুম বুকিং দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই বুকিং বাতিল করেছেন।

শুক্র ও শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আটকেপড়া পর্যটকরা বিআরটিসি বাস ও মাইক্রো করে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। অনেকেই চট্টগ্রাম থেকে মাইক্রো এনে রাঙ্গামাটি ছাড়ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিআরটিসি বাস আর মাইক্রোই তাদের ভরসা।

শনিবার বিআরটিসি বাসের শেষ ট্রিপের যাত্রী ও পর্যটক সবুজ আলী বলেন, রোববার অফিস আছে। তাই অনেক কষ্টে বিআরটিসি বাসের টিকিট সংগ্রহ করেছি। কষ্ট করে হলেও যেতে হচ্ছে।

হোটেল নাদিশার ব্যবস্থাপক মো. শাহীন বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত যেসব পর্যটক আটকে ছিলেন তারা শনিবার সকাল থেকেই বিআরটিসি বাসে করে রাঙ্গামাটি ছাড়তে শুরু করেন। অনেকেই মাইক্রো ভাড়া করে গন্তব্যে চলে গেছেন। হঠাৎ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আমাদের সব রুমের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের হোটেলে আর কোনো পর্যটক নেই।

বিআরটিসি কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মী বিকাশ জানান, বিআরটিসির ছয়টি বাস প্রতিদিন রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম যায়। শনিবারও ছয়টি বাস রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম গেছে। প্রতিটি গাড়িতে যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। তাই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেতে হয়েছে। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক।

রাঙ্গামাটি জেলা কার-মাইক্রোচালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। বিকেল হতেই আমাদের সব গাড়ি ভাড়া হয়ে যায়। অনেক পর্যটকই চট্টগ্রাম থেকে গাড়ি ডেকে এনে চলে গেছেন। শনিবারও গাড়ির চাপ অনেক বেশি।

পর্যটন করপোরেশন রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। পর্যটকরা মাইক্রো বা বিআরটিসির বাসে রাঙ্গামাটি ছাড়ছেন। মাইক্রোর সংখ্যা কম হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে মাইক্রো এনে তাদের পাঠানো হয়েছে।

শংকর হোড়/ইউএইচ/এএসএম