দেশজুড়ে

জোড়াতালির সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগারচর এলাকায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা। সেতুটির দুই পাশ দেবে গিয়ে মাঝ বরাবর আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। নদী পারাপারের বিকল্প রাস্তা না থাকায় সেতুর দুই প্রান্তে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ১৯ গ্রামের বাসিন্দারা। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬ সালে পল্লীশ্রীর অর্থায়নে ১০ লাখ ৭ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণত্রুটির কারণে বছর যেতে না যেতেই হেলে পড়ে সেতুটি। ভারী বর্ষণ ও বন্যায় সেতুর মাঝখানের একটি পিলার দেবে যায়। এরপর থেকে আর সেতুটি সংস্কার করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৬০ ফুট দীর্ঘ ও পাঁচ ফুট চওড়া সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে। ভাঙা সেতু দিয়ে ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বেশিরভাগ লোকই হেঁটে পার হচ্ছেন।

ঝড়সিংহেশ্বর এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর রহমান (৩৫) বলেন, ইউনিয়নের চার ওয়ার্ডের প্রায় ১০ থেকে ১৩ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি।

ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। তারপরও সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ দেখছি না। আমাদের কিছু করার নেই। ভাঙা সেতু দিয়েই আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সেতুটি সংস্কারের জন্য অনেকবার বলা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউর রহমান বলেন, খগারচর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম সেতুটি নির্মাণের জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত নতুন করে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

এসআর/এএসএম