নির্বাচনী সহিংসতায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খান (সিডি খান) ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি বোমা বিস্ফোরণে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর হোসেন প্যাদা নামে ওই ব্যক্তি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়া।
নিহতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে চরদৌলত খান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. চান মিয়া শিকদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষই বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন।
আহতদের প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকার মোহাম্মদপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোরে চরদৌলত খান গ্রামের জয়নাল প্যাদার ছেলে আলমগীর হোসেন প্যাদা (৫৬) মারা যান।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া মিলন মিয়া জানান, চান মিয়ার লোকজন আমার চাচাতো ভাই আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজনকে গুরুতর জখম করে। এর আগেও তার লোকজন ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি চরদৌলত খান এলাকায় সন্ত্রাসীর রাজত্ব করতে চান। জোর করে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এই হত্যার ঘটনায় কালকিনি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. চান মিয়া শিদকার বলেন, আমার কোনো লোকজন বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত না। নিজেরা নির্বাচনের আগের দিন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেই বোমার আঘাতে তার (মিলন মিয়া) লোকজন আহত হয়েছে। এতে আমার কোনো দোষ নেই। চরদৌলত খানের জনগণ আমাকে ভোটের মাধ্যমে রায় দিয়েছে। আমি জনগণের সেবা করবো, কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা এ ইউনিয়নে নেই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ১০ নভেম্বরের ঘটনায় চরদৌলত খান থেকে আটজনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছিলাম। তখন কেউ মামলা দেয়নি। আমি শুনেছি, আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। যে কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রাখা আছে। যে কেউ মামলা দিলে মামলা আমলে নেয়া হবে।
একেএম নাসিরুল হক/এফএ/জিকেএস