গণমাধ্যম

পদবঞ্চিত সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

গত শনিবার রাতে ১৭১ জনকে প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য পদ দেওয়ার পর থেকে সদস্য পদবঞ্চিতরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বুধবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সদস্যপদবঞ্চিত সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করেন। পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুকসহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক।সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ ছাড়া অন্য কাজ হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আমি ২৬ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি, সদস্যপদ হয়নি। অথচ ৩ বছর ধরে পেশায় এসে অনেকেই সদস্য হন। সদস্য করা না হলে আগামী নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য রফিক আহম্মেদ বলেন, প্রয়োজনে প্রেসক্লাব দুই ভাগ করা হবে। পেশাদার সাংবাদিকরা সদস্যপদ পাবেন না, আর অপেশাদাররা সদস্যপদ পাবেন, এটা মেনে নেবো না।তার অভিযোগ, অনেকেই আছেন, সাংবাদিক নন। তারা সকালে প্রেসক্লাবে নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফেরেন। তাই সামনে যে নির্বাচন আছে, তা প্রতিহত করবো।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য অমিয় ঘটক পুলক বলেন, প্রেসক্লাব জামায়াত-বিএনপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে কবি শামসুর রাহমানের মতো ব্যক্তি সদস্য হতে পারেন না। অথচ যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লারা সদস্যপদ পান।তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে এখন জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয়। এসব টাকা মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে রাখার জন্য প্রকৃত সাংবাদিকদের সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে না।