দেশজুড়ে

কেন্দ্রে ভাঙচুর-ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোট স্থগিত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউনিয়নে নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভাঙচুর, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বড়ভিটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই ওই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাধা দিতে গেলে তাদের হামলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টরা আহত হন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও ভোটাররা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

চলে যাওয়ার সময় তারা তিনটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফজলার রহমান বলেন, নৌকার প্রার্থী বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে তার লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি এ অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন।

তবে নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও লাঙল মার্কার প্রার্থী ফজলার রহমানের কর্মী-সমর্থকরাই এ হামলা করেছে।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট চলাকালে দুপুরের দিকে হঠাৎ ৫০-৬০ জন লোক কেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার আরও পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়।

এসজে/জিকেএস