দেশজুড়ে

সিনহা হত্যা: সাফাই সাক্ষ্যে ১৪ আসামির অনীহা

সিনহা হত্যা: সাফাই সাক্ষ্যে ১৪ আসামির অনীহা

পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর নবম দফায় তিনদিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

Advertisement

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আদালত কাঠগড়ায় শনাক্তকরণের পর সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। প্রথম দিনে ১৪ জন আসামিকে শনাক্তকরণ শেষে সাফাই সাক্ষ্যের আহ্বান করা হয়। কিন্তু তারা কেউ সাফাই সাক্ষী দিবে না জানিয়ে লিখিত বক্তব্য আদালতে পেশ করেন। বাকি একজন আসামি এসআই নন্দ দুলালকে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তার বক্তব্য নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

নবম দফার কার্যক্রম উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। সোয়া ১০টা থেকে আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত।

Advertisement

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামকে পাঁচ দিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর অষ্টম দফার শেষ দিন ১ ডিসেম্বর আট আসামি তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন। অন্য সাত আসামির বক্তব্য গ্রহণের জন্য সোমবার থেকে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, বুধবার দুপুরে জেরা শেষ হওয়ার পর সাক্ষীদের বক্তব্য আসামিদের শোনানো হয়। ওই দিন আট আসামি তাদের বক্তব্য শেষ করেন। তবে তারা সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে বাকি আসামিদের শুনানো হয় তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের বক্তব্য। সব শুনানো শেষে আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য আহ্বান করা হলে ১৪ আসামি সাফাই সাক্ষী দিবে না জানিয়ে লিখিত বক্তব্য আদালতে পেশ করেছেন। বাকি একজন এসআই নন্দ দুলালকে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তার বক্তব্য নেওয়া হবে।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এএসএম