শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে নিখোঁজের ১৮ দিন পর পাহাড় থেকে হোসেন আলী (৩৫) নামের এক ইজিবাইক চালকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার কোচপাড়া বটতলা গারো পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসেন আলী শ্রীবরদী উপজেলার সেকদী গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের বাবা।
এ ঘটনায় শ্রীবরদীর ভেলুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুজন মিয়া ও ঝিনাইগাতীর নওকুচি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুমেল রানাকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব ও নিহত পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বের হন হোসেন আলী। কিন্তু রাতেও বাড়ি না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। পরদিন গজনী এলাকায় তার ইজিবাইকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর ২৯ নভেম্বর শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ছোট ভাই আবুল কাশেম।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিষয়টি র্যাবকে জানালে র্যাব ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে অভিযান শুরু করে। অভিযানে সুজন ও সুমেল রানা নামের দুজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে গারো পাহাড়ে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় হোসেন আলীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মো. রুকনুজ্জামান জানান, সুজন ও সুমন ইজিবাইক চালক হোসেন আলীকে ভাড়ার কথা বলে ঝিনাইগাতীর কোচপাড়ায় নিয়ে আসেন এবং তাকে হত্যা করে পাহাড়ে মাটিচাপা দেন। পরে ইজিবাইকের ব্যাটারি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দুজনে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেন। তারা ইজিবাইকটি গজনীতে ফেলে আসেন।
আটকরা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/এএসএম