নড়াইল সদর উপজেলায় মিশকাত হোসেন (৪০) নামে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের (আওয়ামী লীগ) এক সমর্থককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের বড়গাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিশকাত গোবরা প্রগতি পার্বত্য বিদ্যাপিঠের পিয়ন এবং নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানে সাইফুল ইসলাম হিটুর সমর্থক।
মিশকাত হোসেন বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম হিটু ভাইয়ের পক্ষে কাজ করায় আগে একদিন আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধাওয়া করেছিল।আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলাম। বিষয়টি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানালে তিনি আমাকে জিডি করতে বলন। পরে আমি জিডি করেছিলাম। কিন্তু জীবন বাঁচাতে পালিয়েছিলাম।
মিশকাত আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে থানায় দেখা করতে এলে তিনি আমাকে বলেছিলেন আপনার নিরাপত্ততার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্ত আজ আমি সন্ধ্যায় বড়গাতি পাওনা টাকা আনতে গেলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উজ্জ্বল শেখ (৩৮), রাজ্জাক শেখ (৪০), রিপন শেখ (৩৫), ইমন বিশ্বাসসহ ৮/১০জন পিস্তল ঠেকিয়ে হাতুড়ি ও রড দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে আমার ডান হাত ও দুই পা ভেঙে যায়।
নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলক ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা করেছি। এক্সরে রিপোর্টে জানা গেছে তার হাত পা ভেঙেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরাজিত প্রার্থী উজ্জ্বল শেখ বলে, বড়গাতি গ্যানজাম হয়েছে শুনেছি। আমি তখন বাড়ি ছিলাম। যারা মেরেছে তারা আমার পক্ষের হতে পারে অস্বীকার করার সুযোগ নাই। তবে আমি ছিলাম না।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শওকত কবির বলেন, মিশকাত বুধবার স্কুলে যাওয়ার কথা বলছিল। আমরা বলেছিলাম যাও পুলিশ পাঠাবো। আজ এভাবে মারবে আমরা বুঝতে পারিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
হাফিজুল নিলু/এসজে/এএসএম