স্টেশনের শীতল মেঝেতে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন সাবিনা ইয়াসমিন (৬৪)। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না। প্লাস্টিকের ওপর কয়েক টুকরো ছেঁড়া কাপড় বিছিয়ে একটি গামছা জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তার। দুই শীতে দুটো কম্বল পেলেও কোনোটাই নেই তার কাছে। একটি চুরি হয়ে গেলেও ছিঁড়ে গেছে অন্যটি।
আক্ষেপ নিয়ে বৃদ্ধা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। এক ছেলে ও তিন মেয়ে মারা গেছে। বহুকাল ধরে ঘর নাই। শ্বাসকষ্ট নিয়ে মাটিতে পড়ে থাকি। যখন শরীরে শক্তি ছিলো তখন বাসাবাড়িতে কাজ করে পেট চলছিলো। এখন হাত পেতে যা পাই তা দিয়ে দিন কেটে যায়।
তিনি বলেন, থাকার একখান ঘর যদি থাকতো তাহলে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতাম। শুনেছি অনেকে নাকি সরকারি ঘর পাচ্ছে? আমার তো কেউ নাই! আমি যখন মরে যাবো তখন না হয় আবার ঘরখান সরকার নিয়ে নিতো। এভাবে চোখের জল ছেড়ে কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা সাবিনা ইয়াসমিন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, সরকার গৃহহীন দেন ঘরের ব্যবস্থা করেছে। দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৃদ্ধা সাবিনা যদি উপজেলায় আবেদন করেন তাহলে তার ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
তানভীর হাসান তানু/আরএইচ/এমএস