শীতে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের নায়েক মো. সফি আহমেদ।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের হাতে উন্নতমানের কম্বল তুলে দেন তিনি। তীব্র এ শীতে কম্বল পেয়ে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরাও।
দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে অসহায় হয়ে পড়া শিক্ষার্থী ও হতদরিদ্র মানুষের সাহায্য কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা রোগীদের বাসাবাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনা মূল্যে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে পুলিশের নায়েক সফি আহমেদের ‘মানবিক টিম সিলেট’। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবারও ২০ অসহায় শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছেন।
করোনাকালে গত বছরে ঈদের পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশের নায়েক শফি আহমেদ। এনিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
ইউসেপ সুলেমান চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুলের ইন্সট্রাক্টর শাহিদা জামানের ব্যবস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের ইন্সট্রাক্টর মো. শাহ আলম, বিদ্যুৎ কুমার তালুকদার, কৃষ্ণ চন্দ্র দেব, আমেনা বেগম, জান্নাত বেগম, লুবনা আক্তার, দিরাজ রায় প্রমুখ।
এছাড়াও মানবিক টিম সিলেটের সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, ফাইজা রাফা, শুভাকাঙ্ক্ষী ফাহাদ চৌধুরী, রিপন চৌধুরী, বাবলু আহমেদ, তাহমিদা ওয়াহিদা জান্নাত উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গভীর রাতে অসুস্থ মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে মানবিক টিম সিলেট।
এ বিষয়ে সফি আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনে দীর্ঘ সময় করোনার সংক্রমণের কারণে সিলেটে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরাও সঙ্কটে পড়েছেন। কারও কাছে হাত পাততেও পারেননি অনেকে। এ পরিস্থিতিতে তাদের বাসাবাড়িতে গোপনে রাতের বেলা খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে। মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও আমাকে এ কাজে নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় এবার শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ কাজে দেশে-বিদেশে থাকা বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করছেন।’
ছামির মাহমুদ/আরএইচ/এএসএম