বছরের শুরুতেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপি) সিলিন্ডারের দাম কমেছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এতে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ালো ১ হাজার ১৭৮ টাকায়। কিন্তু জেলা পর্যায়ের খুচরা বাজারে এর সুফল এখনো ভোগ করতে পারছেন না ক্রেতারা।
পরিবেশকরা জানান, তারাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা দরে গ্যাসের সিলিন্ডার দিচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতারা আবার কিছুটা বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস। ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা, যমুনা ও লাফস ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু ১২ কেজি গ্যাস ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি, ১৫ কেজি, ২০ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজির দামও আনুপাতিক হারে বেশি টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
কথা হয় শহরের কালিবাড়ি বজারে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসা আবু তাহেরর সঙ্গে। তিনি বলেন, শুনেছি সিলিন্ডারের দাম কমেছে। তাই ভেবেছিলাম আজ হয়তো কিছুটা কমে কিনতে পারবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম আগের পরিস্থিতি আছে এখনও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর ফুডের কর্ণধার ফারুক হোসেন বলেন, ডিলাররা পাইকারি বিক্রি করে, কিন্তু আমরা খুচরা বিক্রি করি। সেই কারণে পাইকারি কিনে বিক্রি করতে গেলে দামের একটু পরিবর্তন হয়। আমাদের পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য খরচ আছে। তাই আমরাই যখন ১ হাজার ১৭৮ টাকায় কিনছি, তখন এ দামে ভোক্তাকে দেওয়া সম্ভব নয়।
যমুনা গ্যাসের পরিবেশক আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা পাইকারি হিসেবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় গ্যাস বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করছেন তা জানি না, সেটা আমাদের জানার দরকারও নেই।
সোমবার ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি এলপি গ্যাসের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকরের কথা বলা হয়। এ দিন থেকে ১ হাজার ১৭৮ টাকায় ভোক্তারা সিলিন্ডার কিনতে পারার কথা। কিন্তু ঠাকুরগাঁওসহ রংপুর বিভাগীয় জেলাশহরগুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে যদি কেউ বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে তাহলে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানভীর হাসান তানু/এসজে/এএসএম