শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি পার করে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া পাঁচ-ছয়জন ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেন। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হামলার সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরে যায় বলেও জানা গেছে।
Advertisement
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। আমরা শুনেছি অ্যাম্বুলেন্স যেতে না দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমাদের নেতাকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এখন তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডি পদত্যাগ না করায় সন্ধ্যা ৭টার পর ফের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শতাধিক ছাত্রী। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কিছু ছাত্রও অংশ নেন। অবরোধের ফলে রাস্তার উভয়দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মোয়াজ্জেম আফরান/এসজে/জেআইএম
Advertisement