জামালপুর সদর উপজেলার কুটামনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৃত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রাণী দে’র বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানতে তদন্ত কমিটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফসহ তার দুই সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। এ সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রাণী দে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘মৃত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুললেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুটামনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন গত বছরের ২৪ অক্টোবর নবগঠিত কমিটির প্রথম সভা আহ্বান করেন। সভায় প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রাণী দে’র কাছে আয়-ব্যয় ও ব্যাংক হিসাব জানতে চাওয়া হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষক আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে চলতি মাসের ১৮ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে সভার আহ্বান করা হলে সেখানেও প্রধান শিক্ষক হিসাব দেখাতে পারেননি।
এরপর ২৩ জানুয়ারি রূপালি ব্যাংক জামালপুর শাখার ব্যাংক বিবরণী দেখান তিনি। বিবরণীতে দেখা যায়, গত বছরের ৪ নভেম্বর ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রাণী দে বলেন, পূর্ববর্তী কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু পূর্ববর্তী সভাপতি মো. আব্দুল বারেক ফকির গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, সভাপতি মো. আব্দুল বারেক ফকির মারা গেলে সহ-সভাপতি মোছা. মাহমুদা সুলতানাকে সভাপতি করে ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা হয়। তবে প্রধান শিক্ষক ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের কোনো রেজুলেশন দেখাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে নবগঠিত কমিটির সভাপতি খালেদ মোশাররফ মিলন জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগের এক সপ্তাহ পর আজ তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এ সময় প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফ জাগো নিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়েছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/এমএস