শীত এলেই দেখা মেলে নানা রঙের পাখি। দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে রঙ-বেরঙের অতিথি পাখির মন ভোলানো ডাক শোনা যায় আশপাশে। শীতে কুয়াশা মোড়ানো সকালে খেজুর গাছের রস খেতে আসা পাখির কিচিরমিচির শব্দ ভিন্ন আমেজ তৈরি করে।
নিরাপদে নেই শীতের পাখি। একশ্রেণির মানুষ দেদারছে শিকার করছে অতিথি পাখিসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ক্ষেতে ফসল রক্ষার নামে কারেন্ট জাল পেতেও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাতবিলা গ্রামে কয়েক কিশোরকে শালিক পাখি শিকার করতে দেখা যায়। এসব পাখি সাপকে খাওয়ানো হয় বলে জানায় বেদেপল্লীর এসব শিশু। সাপের কথা বলে শিকার করলেও এসব পাখি তারা নিজেরাই রান্না করে খায় বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের কৃষক মো. আলমগীর জানান, খেজুর গাছকে কেন্দ্রে করে এলাকায় নানান ধরনের পাখি আসে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির লোক পাখি শিকার করে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
একই উপজেলার মধুপুর গ্রামের মো. নাসির আলী বলেন, কয়েক বছর আগেও যত পাখি দেখেছি এখন তার অর্ধেকও নেই। গাছ যেমন কমে গেছে তেমন পাখিও হারিয়ে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মেদ সনজু জানান, নানাভাবে পাখি নিধনের ফলে অনেক প্রজাতির পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। পাখি রক্ষায় আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। পাখিরা আসবে সেই সঙ্গে গাছিরাও তাদের রস সংগ্রহ করবে। খেজুরের রসের সঙ্গে পাখিদের কলরব মিশে যাক।
আরএইচ/জিকেএস