সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর সড়কের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সংস্কারকাজ শুরু হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
সুনামগঞ্জ শহর থেকে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি। মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে কয়েকমাস আগে সেতুর উপরিভাগ দেবে যায়। পরে এটি হালকা মেরামত করে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে সেতুটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার থেকে সেতু মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। সেতুটি বেইলি ব্রিজের আকারে মেরামত করা হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ চলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুটির বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দণ্ডায়মান ছিল। সেতুর নিচে একাংশে ঢালাইয়ের পলিস্তারা ঝরে পড়ে রড বেরিয়ে পড়ে। সেতুর উপরিভাগে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে। এ কারণে কিছুদিন আগে সেতুর ওপরের দিকের একাংশে লোহার ঝালাই দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার থেকে ফের মেরামত কাজ শুরু হয়। এ কাজ শুরু হওয়ায় হাজারো যানবাহন ও লাখো মানুষের আসা-যাওয়ায় চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
পথচারী আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, সেতুর সংস্কারকাজ চলায় এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে আমাদের খুব ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। যাত্রীরাও বিরক্ত হন আমাদের ওপর।’
লালপুর পয়েন্টের ব্যবসায়ী সারোয়ার আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই সড়কটি তিন উপজেলার মানুষ ও যানবাহন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। এজন্য সংস্কারকাজ চললেও সেতুটি আমাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে।’
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে সেতুটির সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
লিপসন আহমেদ/এসআর/এএসএম