হামলা চালিয়ে মাইক্রোবাস ভাঙচুর, ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাই এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে এজাহার করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামকে হুকুম দাতা হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এছাড়া ভোলাহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, দলদলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইবনে কাজেমসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আরও ১৭ নেতাকর্মীর নাম অভিযোপত্রে রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তন্ময় আহমেদ, নাচোল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মজিদুল হক ও সোলাইমান আলী বৃহস্পতিবার সকালে মাইক্রোবাসযোগে ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনে যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার পথে ছয়টি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে। এ সময় তারা লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গাড়িটি ভাঙচুর করে। গাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে খারাপ ব্যবহার করে এবং ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করে ৫০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।
তন্ময় আহমেদের দাবি, ‘আসামি মো. ইবনে কাজেমের মোবাইল ফোনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের কল দিয়ে আমাকে ভুল স্বীকার করতে বলেন এবং আর কোনোদিন ভোলাহাটে না আসলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। আমি প্রাণের ভয়ে এমপি আমিনুল ইসলামের কাছে ভোলাহাটে আসবো না বলে জানাই। এরপর তারা আমাকে ছেড়ে দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুই আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা ভোলাহাটে এসে লাঞ্ছিত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলাহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজওয়ানুল হক মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভাঙা পাওয়া যায়। তবে ছিনতাই বা চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই অভিযোগ অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুকুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোহান মাহমুদ/এসজে/এমএস