একুশে বইমেলা

‘টুকটুকি-হালুম নেচেছে, আমরাও নেচেছি’

বইমেলায় সিসিমপুরে মেতে উঠেছে শিশুরা। টুকটুকি, হালুম, সিকু, ইকলিদের সঙ্গে নেচে-গেয়ে আনন্দ করে তারা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অমর একুশে বইমেলার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু কর্নারে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সেখানে সিসিমপুর মঞ্চস্থ হয়।

আধা ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক শিশু উপস্থিত ছিল। এসময় মঞ্চের চারপাশে অভিভাবকরা অবস্থান করে। আর শিশুরা সিসিমপুর উপভোগ করে নেচে-গেয়ে।

রাজধানীর বনশ্রী থেকে মেলায় আসে শিশু তানজিল মাহমুদ অর্ক। সিসিমপুর দেখা শেষে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অর্ক জানায়, হালুম, ইকলিকে দেখেছি। অনেক মজা করেছি।

বাবার সঙ্গে বইমেলায় আসা শিশু মেহেরান মাহাদি বলে, সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, সিকু, ইকলি নেচেছে। আমরাও নেচেছি।

রাজধানীর ওয়ারী থেকে মেয়ে প্রত্যুশা সাহাকে নিয়ে আসা হৈমন্তী রায় বলেন, প্রতিবছর বইমেলায় সিসিমপুর দেখার জন্য মেয়েকে নিয়ে আসি। খুব খুশি হয় সিসিমপুর দেখে। বই দেখানো ও কিছু বই কিনে দেই, যেন সবকিছুর সঙ্গে খেলাস্থলে পড়তে পারে।

বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রতি বছর মেলায় শুক্র ও শনিবার পালিত হয় শিশুপ্রহর। করোনার কারণে এবারের মেলা দেরিতে হওয়ায় শিশুপ্রহরও মেলা শুরুর এক সপ্তাহ পর রাখা হয়।

শিশুদের বিনোদনের জন্য রাখা হয় সিসিমপুর। দুপুর সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মঞ্চস্থ করা হবে সিসিমপুর।

আরএসএম/জেডএইচ/এএসএম