বিশেষ প্রতিবেদন

‘একজন আরেকজনকে ডেকে বলে, দেখো নারী ট্রেন চালাচ্ছে’

‘আমরা সমাজের অর্ধ অঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোনো ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে?’ সমাজে নারীকে পিছিয়ে রাখার বিরুদ্ধে এই দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ ছিল নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের। নারীকে এখন আর পিছিয়ে বা দমিয়ে রাখা যায় না, সমানতালে সমাজের অগ্রযাত্রায় সাক্ষর রাখছেন তারা। হয়ে উঠছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রেরণার প্রতীক।

এমনই একজন ছালমা খাতুন। দেশের প্রথম নারী ট্রেনচালক। ছালমা ২০০৪ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী লোকোমাস্টার বা সহকারী ট্রেনচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সহকারী ট্রেনচালক থেকে তিনি হন লোকোমাস্টার বা পূর্ণাঙ্গ ট্রেনচালক। তার দেখানো পথ ধরেই বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে আছেন ১৮ জন নারী ট্রেনচালক।

গত ৬ মার্চ রাজধানীর কমলাপুর থেকে নারায়য়ণগঞ্জ পর্যন্ত ডেমো ট্রেনের চালকের দায়িত্বে ছিলেন ছালমা খাতুন। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন বড় মেয়ে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা ইবনাত লাবণ্যও। যাত্রাপথেই কথা হয় জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব দিক্ষিৎ।

জাগো নিউজ: বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাই।

ছালমা খাতুন: আমার বেড়ে ওঠা গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের অর্জুনা গ্রামে। শৈশব কেটেছে মূলত গ্রামেই। পাঁচ ভাই-বোনের পরিবারে আমরা বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছি। বাবা কৃষক ও মা গৃহিণী হলেও পরিবারের সবাই পড়ালেখা করেছি, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি।

জাগো নিউজ: নারী হিসেবে তখন সমাজে কী দেখতে পেতেন?

ছালমা খাতুন: আমি অবশ্য একটু ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমাদের গ্রামের মানুষ তখনই মোটামুটি একটু শিক্ষিত ছিল। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন বা আশপাশের লোকজনকে দেখতাম বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করছে। আমারও একটা মনমানসিকতা তৈরি হলো যে এই পরিবার থেকেই আমি একটা কিছু করবো। একটা চাকরি, অন্তত একটা ভালো কিছু করবো। আমি আমার পরিবার ও সমাজে সেভাবেই বেড়ে উঠেছি এবং আমি আমার সমাজটাকে সেভাবেই দেখেছি।জাগো নিউজ: ট্রেনচালক হওয়ার চিন্তা কখন মাথায় এলো?

ছালমা খাতুন: আমি ছোটবেলা থেকেই একটু চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম। ছেলেদের কাজও করতাম, মেয়েদের কাজও করতাম। আমি আমার বাবার কাজেও সহযোগিতা করতাম। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা ইচ্ছা ছিল যে ব্যতিক্রমধর্মী পেশায় কাজ করবো। সেটা ট্রেনচালকই যে হবো তা নয়, শুধু ব্যতিক্রমধর্মী হবে এই চিন্তা থেকেই হঠাৎ করে ট্রেনচালক পেশায় আসা।

জাগো নিউজ: ট্রেনচালক হওয়ার শুরুটা কীভাবে হলো?

ছালমা খাতুন: আমি যখন এইচএসসি পাস করে ঢাকায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন আমার একটা চাকরির খুব প্রয়োজন ছিল। তখন আমার মেজো ভাই বলছেন যে, বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটা সার্কুলার হয়েছে, সেটি সহকারী ট্রেনচালক পদে। প্রার্থীকে এইচএসসি বিজ্ঞান গ্রুপের হতে হবে। তুমি চাইলে এখানে আবেদন করতে পারো। সার্কুলারটা দেখে আবেদন করলাম। লিখিত পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার পর ভাইভায় গিয়ে দেখি একমাত্র মেয়ে আমি। ভাইভা দিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে এলাম। তিন-চার মাস পর আমার চাকরিতে যোগদান করার চিঠি হাতে পেলাম। আমার ভাইকে নিয়ে চট্টগ্রামে গেলাম, চাকরিতে যোগদান করলাম। তারপর ঢাকায় পাঠানো হলো ট্রেনিংয়ের জন্য। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ট্রেনিং করেছি।

জাগো নিউজ: প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাটা কী ছিল?

ছালমা খাতুন: কুমিল্লার লাকসামে একদিন ট্রেনিং করছিলাম। সেখানে যিনি ট্রেন বুক করেন তিনি আমাকে বললেন, ছালমা আপনার একটা ট্রেন নিয়ে যেতে হবে। লোক খুঁজে পাচ্ছি না, আপনাকেই যেতে হবে সহকারী হিসেবে। আসলে হঠাৎ করে এমনটার প্রস্তুতি ছিল না যে আমি ট্রেন নিয়ে যাবো। ট্রেনটি ছিল লাকসাম থেকে নোয়াখালী রুটের। আমি আমার চাচার বাসায় থেকে ট্রেনিং করছিলাম। বাসায় গিয়ে চাচা-চাচিকে বললাম, ট্রেন বুক দিয়েছে, আমাকে নিয়ে যেতে হবে। তারা বললেন, কোনো চিন্তা করো না। আমরা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকবো, তুমি যাবে ট্রেন নিয়ে। আবার যখন আসবে, তখনো দেখবে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তুমি যাও। সন্ধ্যায় ট্রেন নিয়ে গেলাম। আমার একজন পুরুষ লোকমাস্টার ছিলেন। লোকজন বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে। যাওয়ার সময় সব স্টেশনেই লোকজন লক্ষ্য করলো। ফেরার পথে চৌমুহনী স্টেশনে দেখলাম ভরপুর লোকজন আমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমি ট্রেন আস্তে আস্তে থামাচ্ছি আর তারাও আস্তে আস্তে দৌঁড়াচ্ছে। আমি ভয়ে জানালা লাগিয়ে দিয়েছি। তখন এক নারী এসে বললেন, মা, শুধু তোমাকে দেখার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তখন জানালা খুলে তাদের সবার সঙ্গে কথা বললাম। সবাই কীভাবে যেন জেনে গেলো। আসার সময় প্রতিটা স্টেশনেই এমন লোক ছিল। লাকসাম আসার পর চাচা বললেন, কী অবস্থা তোমার? আমি বললাম, চাচা আমি ভয় পাইনি। তিনি বললেন, ঠিক আছে। কিন্তু তুমি তো আজ ট্রেন নিয়ে গেছো, আর আমার কাছে শুধু ফোন এসেছে। বলছে, আপনার বাসায় নাকি একজন নারী ট্রেনচালক আছে।

জাগো নিউজ: ট্রেনচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন?

ছালমা খাতুন: আমার পরিবার শুরু থেকেই আমাকে সহযোগিতা করেছে। প্রতিবেশী-গ্রামের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন অনেক খুশি হয়েছে। যখন নিউজ হলো আমি ট্রেন চালালাম। সবাই জানতে পারলো। আগে বুঝেছিল যে আমার একটা চাকরি হয়েছে। কিন্তু ওইভাবে ভাবেনি যে ট্রেনচালক। যখন জানলো তখন সবাই অনেক খুশি হয়েছে। তারা বলতো, আমরা ছালমাকে নিয়ে গর্ববোধ করি যে তুমি আমাদের গ্রামের মেয়ে বা আমার জেলার মানুষ।

জাগো নিউজ: একজন পূর্ণাঙ্গ ট্রেনচালক হিসেবে আপনার কী কী দায়িত্ব পালন করতে হয়?

ছালমা খাতুন: প্রথমত এত বড় একটি সরকারি সম্পত্তির তদারকি করা। যাত্রীদের নিরাপদে ওঠানো-নামানো। গাড়ি চালানোর সময় যেসব সংকেত তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা। এছাড়া রেললাইনে গাড়ি, মানুষ কিংবা কোনো প্রাণী উঠেছে কি না বা লাইনে কোনো কিছু আটকে আছে কি না। শতভাগ মনোযোগী হয়ে ট্রেন চালাতে হয়। অন্য পেশায় ৯০ ভাগ ৯৯ ভাগ মনোযোগে কাজ করলেও হয়ে যায়, কিন্তু এখানে শতভাগ দিতে হয়। একটু মনোঃসংযোগ হারালেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জাগো নিউজ: ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?

ছালমা খাতুন: নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সেটা হচ্ছে, আমি ট্রেন চালাচ্ছি, হর্ন দিচ্ছি। এর মধ্যে রেললাইনের ওপর গাড়ি উঠে গেছে, আত্মহত্যার জন্য কেউ লাইনে শুয়ে পড়েছে। আমাকে এক সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই মুহূর্তে আমার কী করা উচিত।

আবার ঢাকার ট্রেনগুলো মধ্যরাতে শেষ হয় আর শেষ রাতে শুরু হয়। যেটা শেষ রাতে শুরু হয় সেটা দিনের বেলা শেষ হয়। আর যেটা বিকেলে শুরু হয় সেটা মধ্যরাতে শেষ হয়। ফলে নারীদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জই। কারণ শীতের দিনে সাড়ে ৪টা অনেক রাত। তখন একাই বের হতে হয়। আমার নিজের বা বাংলাদেশ রেলওয়েরও কোনো পরিবহন নেই। তখন আমার স্বামী কিছু রাস্তা এগিয়ে দেয়, বাকিটা পথ আমাকে ছিনতাই বা একজন নারী হিসেবে যে ঝুঁকি থাকে তা নিয়েই যেতে হয়।

জাগো নিউজ: প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতাটা কী আসলে?

ছালমা খাতুন: যদি আমার ট্রেনে কোনো কারণে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয় তখন আস্তে চালাতে হয়। তখন মানুষ বলে ‘মহিলা মানুষ’ ট্রেন চালাতে এসেছে, ট্রেন চালাতে পারে না। যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ হয়ে গেলে বলে ‘মহিলা মানুষ’ কাজ পারে না, বন্ধ করে দিয়েছে। সব দোষ নারীর, এরকম আর কি।

জাগো নিউজ: ট্রেনচালক হিসেবে ভালো লাগার জায়গা কোনটি?

ছালমা খাতুন: ভালো লাগার বিষয়টি হলো, অনেকেই কৌতূহল নিয়ে দেখছেন। একজন আরেকজনকে ডেকে বলেন, দেখো নারী ট্রেন চালাচ্ছে। অনেকে আবার বলে, আপা, আপনি ট্রেন চালাচ্ছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আমাকে দেখে বেশিরভাগ খুশি নারীরাই হয়। তারা গর্ববোধ করে।

জাগো নিউজ: আপনাকে দেখে উৎসাহিত হয়েছে বা আপনি জেনেছেন এমন কোনো ঘটনা কি আছে?

ছালমা খাতুন: এমন অনেকই আছে। আমি ট্রেনে বসে আছি, দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেছে। আগে হয়তো দেখেনি শুধু শুনেছি। এসেই বলে আপু, আপনাকে যে এভাবে দেখবো কখনোই ভাবিনি। মনে মনে ভেবেছি কখনো দেখবো। অনেকে আবার বলেছে আপু আপনাকে দেখে আমরা মেয়েরা আসলে অনেক সাহস পাই, উৎসাহ পাই। আমরাও আপনার মতো সাহস করে চাইলে কিছু করতে পারবো। আমার এই দীর্ঘ পথচলা, ঝুঁকি নেওয়ার একমাত্র কারণ বাংলার নারীদের জন্যই। যেন তারাও এমন চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসতে প্রেরণা পায়।

জাগো নিউজ: আপনার স্বামী আপনাকে কতটুকু সহযোগিতা করে?

ছালমা খাতুন: আমার স্বামী মো. হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে কোথায় চাকরি করি, কী কাজ করি সব জেনেই বিয়ে হয়েছে। তিনি আমার এই পেশাটাকে খুব ভালোভাবেই নিয়েছেন, অনেক সহযোগিতাও করেন। কাজ করে রাত হলে তিনি এসে নিয়ে যান। আবার শেষ রাতে যখন বের হই, তিনি আমাকে এগিয়ে দিয়ে যান।

জাগো নিউজ: রেলওয়েতে নারী পুরুষের সমতা কতটুকু দেখছেন?

ছালমা খাতুন: আমি আমার মতো দায়িত্ব পালন করি। ছেলেরা ছেলেদের দায়িত্ব পালন করে। আলাদা করে দেখি না। আমার যে পেশা এটা পুরুষদের পেশা বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু নারীদের যদি করতে হয় তাহলে অনেক কষ্ট করতে হবে। যেমন আমি করি। অনেক কষ্ট করে এতটা পথ আসা। অনেকটা যুদ্ধ করেই আমি আমার জীবনটাকে চালিয়ে যাচ্ছি।

জাগো নিউজ: এবারের নারী দিবসে আপনার চাওয়াটা কী?

ছালমা খাতুন: আমি চাই আমার পেশাটাতে আরও নারী আসুক। তবে নারীদের জন্য ভাবতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়েকেও। কী সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করলে তাদের জন্য ভালো হয়, প্রতিবন্ধকতাগুলো দেখতে হবে। যেমন- ডেমু ট্রেনটিতে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ সময় ট্রেনে থাকলে ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কোথায় যাবো এসব নিয়ে ভাবতে হয়। আমি ২০০৪ সালে এই পেশায় আসার পর মোট ১৮ জন নারী চালক এলেন। তাই এখন তাদের জন্য একটু ভাবা উচিত। মাসে অন্তত ছুটি থাকা। আমাদের সমস্যা হয়, কিন্তু সেটা আমরা বলতে পারি না।

জাগো নিউজ: বিশেষ কোনো স্মৃতি...ছালমা খাতুন: একবার টঙ্গী পার হয়ে দিরাশ্রম ঢুকবো। এই মুহূর্তে ছোট্ট একটা সুন্দর বাচ্চা টুকটুক করে রেললাইনের ওপর হাঁটছে। তখন আমার ট্রেনের গতি ৬৫ কিলোমিটার বেগে চলছে। অনেক দূর থেকে দেখছি সাদা ফ্রক ও লাল সালোয়ার পরা। ট্রেনের গতি কমাতে শুরু করি। ঠিক ওর কাছে গিয়ে ট্রেনটি থামে। ওর বাবা-মা এসে ওকে নিয়ে যায়। কিছু কিছু ঘটনা আছে, আমি এক-দেড় ঘণ্টা জোরে জোরে চিৎকার করে কেঁদেছি। এমনও দেখেছি অনেক সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা ট্রেনের নিচে পড়ে গেছে। আফসোস করেছি। আমাদের করার তো কিছু থাকে না।

জাগো নিউজ: আপনার সন্তানরা পেশাটাকে কীভাবে দেখেন?

ছালমা খাতুন: আমার দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে জাবিয়া ইত্তেজা ইরার বয়স তিন বছর। সে ট্রেন দেখলেই বলে আমার মায়ের ট্রেন। আর বড় মেয়ে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। বড় মেয়ে বলে, মা তোমার অনেক কষ্ট, কিন্তু তোমার নাম বললে সবাই চেনে যে ছালমা খাতুনের মেয়ে। আমার মেয়ে অনেক খুশি। আর আমাকে বলে মা, আমি কি তোমার মতো হতে পারবো?

জাগো নিউজ: আপনার স্বপ্ন কী?

ছালমা খাতুন: আমার ইচ্ছা আমার মেয়েরা ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। তাদের আমি শেখাই, তারা যেন সব কাজই করতে পারে। আর আমার নিজের স্বপ্ন, বাংলাদেশে নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। নারীর ক্ষমতায়নেও বেশ এগিয়েছে। এই সময়ে আমি চাই বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের যে পদ্মা সেতু, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন উদ্বোধন করবেন, সেই উদ্বোধনী ট্রেনের চালকটি যেন আমি হই।

আরএসএম/এইচএ/জিকেএস