জামালপুরের মেলান্দহে রেলের টিকিট নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন লাভলু আহমেদ বিজয় নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে মেলান্দহ স্টেশন চত্বরে হামলার শিকার হন তিনি। তিনি উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়নের দাগী গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা লাভলু আহমেদ বিজয় জাগো নিউজকে বলেন, একমাস আগে ঢাকা যাওয়ার জন্য মেলান্দহ রেলওয়ে কাউন্টারে টিকিট না পেলে কালোবাজারিরা পাঁচশত টাকা বেশি দাবি করেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট দিই। বিষয়টি জানাজানি হলে কালোবাজারিরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আজ (বুধবার) দুপুরে স্টেশন চত্বরে আমাকে একা পেয়ে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েলের নির্দেশে রহিম ও সুজন স্টেশনের কাউন্টারে নিয়ে ১৫-২০ মিনিট কিল-ঘুষি, লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
খবর পেয়ে নয়ানগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান চুন্নু মণ্ডলের ফোন পেয়ে তারা আমাকে ছেড়ে দেন।
এ বিষয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ময়মনসিংহ থেকে লাভলু আসার পর ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান চুন্নু মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে লাভলুর মা এসে কান্নাকাটি করলে আমি জুয়েলের কাছে ফোন দেই। পরে শুনতে পাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তাকে মারধর করেছে রহিম। আমার ফোন পেয়ে তারা লাভলুকে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, বিজয় আমার দলের লোক। তার সঙ্গে স্টেশনে কয়েকজনের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। গতকাল সেটা মীমাংসা করে দিয়েছি। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস