ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর আব্দুল রশিদ (৪৫) নামে এক কৃষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আব্দুল রশিদ চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলী ফরাজীর ছেলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর যমুনা গ্রামে শ্বশুর মো. মালেকের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
মৃত কৃষকের ভাই মো. সবুজ বলেন, ‘ভাই দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর মালেকের বাড়িতে থাকেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) ভাইয়ের এক মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন তার শ্বশুর ও স্ত্রী আমিরুন বেগম (টুনি)। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পরে ওইদিন বিকেলে ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ইঁদুর মারার বিষপানে অসুস্থ হয়েছে বলে তাকে দুলারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে আবার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজের অভিযোগ, ‘ভাই আব্দুল রশিদকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়তো পিটিয়ে হত্যা করেছে নয়তো সে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধর সইতে না পেরে বিষপান করেছে।’
তবে আব্দুল রশিদের শ্বশুর মালেক জাগো নিউজকে বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তাই স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ইঁদুর মারার ওষুধ খায় সে।’
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মৃতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসজে/এএসএম