দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে (২৮ মার্চ-৩ এপ্রিল) এ ভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা কমলেও মৃত্যুহার বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। তবে শনাক্ত কমেছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষা ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং সুস্থতা ২২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
আগের সপ্তাহে (২১-২৭ মার্চ) মৃত্যু ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ, শনাক্ত ৪০ দশমিক ১ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, সুস্থতা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছিল।
সোমবার (৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের (এপিডেমিওলজিক্যাল) ১৩তম সপ্তাহ (২৮ মার্চ-৩ এপ্রিল) ৫৬ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০৬ জন।
এর আগের সপ্তাহ অর্থাৎ ১২তম সপ্তাহ (২১-২৭ মার্চ) ৬৯ হাজার ৭১৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান একজন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৩৩৩ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই নারী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। তার বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১২৩ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৩১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে সাত হাজার ৭৭৮টি নমুনা সংগ্রহ ও সাত হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৫৫১টি।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪২ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫২ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এমইউ/এএএইচ/এএসএম