বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে ধান পাকতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে ধান কাটা শুরু হবে। তবে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
Advertisement
আগৈলঝাড়া উপজেলার, রাজিহার, বাকাল, গৈলা, রত্নপুর ও বাগধা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগবালাই ছিল না বললেই চলে। বিগত সময় ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটতে ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমিক আগৈলঝাড়ায় আসতেন। তারা মজুরির বিনিময় ধান কেটে ঘরে তুলে দিতেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছরে শ্রমিক আসা কমে গেছে।
কৃষকরা বলছেন, এবারও তারা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ শ্রমিক আসবেন না বলে জানিয়েছেন। অথচ আগামী সপ্তাহে ধান কাটা শুরু হবে। ১২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে বিলম্ব হলে তাদের ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার গৈলা গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের কৃষক জালাল সরদার, কোদালধোয়া গ্রামের কৃষক নবীন হালদার বলেন, আমন আবাদে ধান পাকার পরও ধান কাটতে হাতে কিছু সময় পাওয়া যায়। কিন্তু ইরি-বোরো মৌসুমে ধান পাকার পর সেই সময় থাকে না। কারণ পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে বিলম্ব হলে বৃষ্টি ও কালবৈশাখীতে ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
Advertisement
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৮১৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ৯ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন। বাম্পর ফলন হওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে শ্রমিক সংকট দূর করতে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।
সাইফ আমীন/এসআর/এএসএম
Advertisement