দেশজুড়ে

পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েছে যাত্রী-যানবাহনের চাপ

 

আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ছুটি আরম্ভ না হলেও রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই কর্মজীবীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। একারণে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। তবে পারাপারে বড় ধরনের কোনো দুর্ভোগ নেই।

সকালে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি। বড় গাড়ির তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ বেশি ছিল। পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে কেবল ছোট গাড়িগুলো পারাপার করা হচ্ছে। তবে ফেরি পারের জন্য বিআইডব্লিউটিসির টিকিট কাউন্টার থেকে দীর্ঘ লাইনে এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে।

দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ফেরি পারাপার হতে দেখা গেছে যাত্রীবাহী বাসগুলোকেও। যাত্রীর চাপ দেখা গেছে লঞ্চঘাটেও। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। টার্মিনাল ছাড়িয়ে ট্রাকের দীর্ঘ সারি শুক্রবার দুপুর ১টায় তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

নবীনগর থেকে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন নুরজাহান বেগম। সঙ্গে তার মা আর ছোট দুই সন্তান। তিনি জানান, তার স্বামী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঈদের ছুটি পেতে অনেক দেরি হবে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ তাই ঈদের সময় পথের দুর্ভোগ এড়াতে আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছেন।

প্রাইভেটকারে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আলম মিয়া। তিনিও আগেভাগেই গ্রামে যাচ্ছেন। বললেন, ২৭ রেজায় এলাকায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন। এজন্য গ্রামে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদের ছুটি শুরু না হলেও শুক্রবার ঘাটে কিছুটা যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই তারা নদী পার হতে পারছেন। পারাপারে বর্তমানে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।

তিনি আরও জানান, যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়ায় ঘাটে কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহন কমে আসলেই ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে।

বি এম খোরশেদ/এমআরআর/জিকেএস